নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এ দিন দুপুর দুটোর পর জিতেন্দ্রকে আদালতে আনা হয়। সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছিল আদালত চত্বর। ছিল কমব্যাট ফোর্স। পৌনে তিনটে নাগাদ শুনানি শুরু হয় রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতিতে। আগের দিনের মতোই সকলকে চমকে দিয়ে নিজের সওয়াল শুরু করেন জিতেন্দ্র। বলেন, ‘সেশনস কোর্ট ও হাইকোর্টে ৪৩৮ নম্বর ধারায় আমার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি করি। স্টেট তা জানত। তার পরেও গত ১৫ মার্চ এই আদালত থেকে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ বলেনি সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি করা হয়েছে। এখানে কোর্টকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। তথ্য চেপে যাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে আমি পলাতক।’ তাঁর আরও সওয়াল, ‘আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দেখুন। কোথায় আমি পলাতক? কলকাতা আর দিল্লির বইমেলায় ছিলাম।
কলকাতায় মিছিলও করেছি। তা-ও আমি পলাতক? গত আট দিনে ১৯২ ঘণ্টা আমাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। ভিডিয়ো রেকর্ডিং দেখুন। এর মধ্যে দু’ঘণ্টার বেশি আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। সে-ও পুলিশের খুশিমতো, ৫-১০ মিনিট করে। সোমবার আমার বাড়ি থেকে টেলিফোন সিজ় করা হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে টেলিফোন সিজ়ের কী যোগ?’
জিতেন্দ্র র যুক্তি, ‘যতদিন পিসি (পুলিশ কাস্টডি) দিতে হয় দিন। পুলিশকে সবরকম সাহায্য করব। কিন্তু তার পরে যেদিন আসব, সেদিন জামিন নিতেই আসব। এটা আমার অধিকার।’ আদালতকে তাঁর আবেদন, ‘এর কপি যাতে পাই, সে ব্যবস্থা করবেন।’ জিতেন্দ্রর সওয়ালের পরে সরকারি কৌঁসুলি বলেন, ‘উনি নিজেই যখন পুলিশি হেফাজত চাইছেন, সেখানে আমাদের আর কিছু বলার নেই।’
এদিন আদালত চত্বরে পুলিশের গাড়ি থেকে নামার পরে সাংবাদিকদের দেখে জিতেন্দ্র বলেন, ‘আসানসোল কারও কাছে মাথা নত করে না। কলকাতার কাছে তো নয়ই।’ আর বেরনোর সময়ে কয়লা পাচার মামলায় মন্ত্রী মলয় ঘটককে ইডির তলব প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আসানসোলবাসী হিসেবে চাই না কোনও আসানসোলবাসীর ক্ষতি হোক। বাকি আইনটা উনিই বলতে পারবেন।’