Jitendra Tiwari : যতদিন পুলিশ হেফাজত দিতে চান দিন: জিতেন্দ্র – jitendra tiwari asked his own question in court


এই সময়, আসানসোল: কম্বল বিতরণ মামলায় আদালতে নিজের সওয়াল নিজেই করলেন অন্যতম অভিযুক্ত জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আট দিনের পুলিশি হেফাজত শেষে সোমবার তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। সিজিএম তরুণকুমার মণ্ডলের এজলাসে তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে যদি তাঁকে ফের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়, তাঁর আপত্তি নেই। তিনি তদন্তে সহযোগিতাই করবেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে একদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ, মঙ্গলবার আবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

Jitendra Tiwari : এখনই স্বস্তি নেই জিতেন্দ্র তেওয়ারির, জামিন নাকচ নিম্ন আদালতের
নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এ দিন দুপুর দুটোর পর জিতেন্দ্রকে আদালতে আনা হয়। সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছিল আদালত চত্বর। ছিল কমব্যাট ফোর্স। পৌনে তিনটে নাগাদ শুনানি শুরু হয় রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতিতে। আগের দিনের মতোই সকলকে চমকে দিয়ে নিজের সওয়াল শুরু করেন জিতেন্দ্র। বলেন, ‘সেশনস কোর্ট ও হাইকোর্টে ৪৩৮ নম্বর ধারায় আমার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছিল।

Jitendra Tiwari: কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচের রায়কে হাতিয়ার, জিতেন্দ্রর জামিনের আবেদন
সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি করি। স্টেট তা জানত। তার পরেও গত ১৫ মার্চ এই আদালত থেকে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ বলেনি সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি করা হয়েছে। এখানে কোর্টকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। তথ্য চেপে যাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে আমি পলাতক।’ তাঁর আরও সওয়াল, ‘আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দেখুন। কোথায় আমি পলাতক? কলকাতা আর দিল্লির বইমেলায় ছিলাম।

Chaitali Tiwari: জিতেন্দ্র পত্নীকে ‘সুপ্রিম রক্ষাকবচ’, গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ
কলকাতায় মিছিলও করেছি। তা-ও আমি পলাতক? গত আট দিনে ১৯২ ঘণ্টা আমাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। ভিডিয়ো রেকর্ডিং দেখুন। এর মধ্যে দু’ঘণ্টার বেশি আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। সে-ও পুলিশের খুশিমতো, ৫-১০ মিনিট করে। সোমবার আমার বাড়ি থেকে টেলিফোন সিজ় করা হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে টেলিফোন সিজ়ের কী যোগ?’

জিতেন্দ্র র যুক্তি, ‘যতদিন পিসি (পুলিশ কাস্টডি) দিতে হয় দিন। পুলিশকে সবরকম সাহায্য করব। কিন্তু তার পরে যেদিন আসব, সেদিন জামিন নিতেই আসব। এটা আমার অধিকার।’ আদালতকে তাঁর আবেদন, ‘এর কপি যাতে পাই, সে ব্যবস্থা করবেন।’ জিতেন্দ্রর সওয়ালের পরে সরকারি কৌঁসুলি বলেন, ‘উনি নিজেই যখন পুলিশি হেফাজত চাইছেন, সেখানে আমাদের আর কিছু বলার নেই।’

Anubrata Mondal Latest Update: তিহাড় বন্দি অনুব্রতর শ্বাসকষ্ট, ভর্তি জেল হাসপাতালে
এদিন আদালত চত্বরে পুলিশের গাড়ি থেকে নামার পরে সাংবাদিকদের দেখে জিতেন্দ্র বলেন, ‘আসানসোল কারও কাছে মাথা নত করে না। কলকাতার কাছে তো নয়ই।’ আর বেরনোর সময়ে কয়লা পাচার মামলায় মন্ত্রী মলয় ঘটককে ইডির তলব প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আসানসোলবাসী হিসেবে চাই না কোনও আসানসোলবাসীর ক্ষতি হোক। বাকি আইনটা উনিই বলতে পারবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *