সন্দেহভাজন বাংলাদেশি ওই যুবক কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কি না, ভারতে এসে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা তদন্ত করতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক মহম্মদ তরিকুল ইসলামের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার খান মহম্মদপুরে। রবিবার রাতে পেট্রাপোল স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছিলেন তরিকুল। তাঁর পাসপোর্ট পরীক্ষার সময়ে অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। ওই যুবকের কথাতেও কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তরিকুলকে আটক করা হয়।
পরে পেট্রাপোল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেরা শুরু করে পুলিশ। জেরায় তরিকুলের অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তল্লাশি চালিয়ে তরিকুলের কাছ থেকে ভারত-বিরোধী কিছু আপত্তিকর কাগজপত্র ও একটি ট্যাব উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরেই জঙ্গি যোগ সন্দেহে বাংলাদেশি যুবক মহম্মদ তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পেট্রাপোল থানা।
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, দিন দশেক আগে ভারতে এসেছিলেন তরিকুল। ২০২১ সালের পর থেকে তিনি একাধিকবার ভারতে এসেছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মহম্মদ তরিকুল ইসলাম কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। ধৃতের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত ট্যাব ও মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১, ১২১-এ, ১২৩, ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বনগাঁ মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী অসীমকুমার দে বলেন, ‘জঙ্গি সন্দেহে মহম্মদ তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিকল্পনা-সহ একাধিক মামলা রুজু করেছে পুলিশ।’