Recruitment Scam In West Bengal : সাক্ষীদের ভয় দেখালে অভিযোগ হয়েছে? সিবিআইকে প্রশ্ন কোর্টের – niladri das head of the omr sheet scam was involved in the recruitment fraud in various offices


এই সময়: এসএসসির নিয়োগে তো বটেই, রাজ্য সরকারের আরও বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ জালিয়াতিতে যোগ ছিল ওএমআর প্রস্তুতকারী ও মূল্যায়নকারী সংস্থার কর্তা নীলাদ্রি দাসের? প্রাথমিক ভাবে ধৃতকে জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। এমনকী কোন পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কত টাকা দিতে হবে, তারও নির্দিষ্ট রেট চার্ট তৈরি করে দিয়েছিলেন নীলাদ্রি।

OMR Sheet : প্রায় ৮ হাজার ওএমআর বিকৃতিতেও কি নীলাদ্রি?
সিবিআই হেফাজত শেষে সোমবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, নীলাদ্রির থেকে অনেক তথ্য ও নথি পাওয়া গিয়েছে। সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন নীলাদ্রি। তাই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক। যদিও এ দিন নীলাদ্রির আইনজীবী পাল্টা সওয়ালে বলেন, ‘নীলাদ্রিকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন আগে এই মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত আরও ১, গ্রেফতার OMR প্রস্তুতকারী সংস্থার আধিকারিক
চার্জশিটের পরে আমার মক্কেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চার্জশিট মানে তো তদন্তই শেষ! চার্জশিটেও কোথাও বলা হয়নি আমার মক্কেল পলাতক। তা ছাড়া সিবিআইয়ের ডাকে হাজিরা দেওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে আমার মক্কেলকে গ্রেপ্তার করা হলো কেন?’ আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রানা দাম সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা বলছেন, সাক্ষীকে ভয় দেখিয়েছেন নীলাদ্রি। আপনারা এফআইআর দায়ের করেছেন? না করলে তো আপনি ভয় দেখিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশয় দিচ্ছেন।’ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নীলাদ্রিকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

Recruitment Scam : জেল থেকে ফের সিবিআই হেফাজতে সেই শান্তিপ্রসাদ
ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে থাকা সংস্থার অন্যতম কর্তা নীলাদ্রি অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি পেতে সাহায্য করেছেন বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার। শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল নীলাদ্রির। শিক্ষা দপ্তরের গরমিল যাতে প্রকাশ্যে না চলে আসে, সে জন্য সবরকম ভাবে সাহায্য করেছে নীলাদ্রির সংস্থা- এমনটাই দাবি এ দিন করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। যা অস্বীকার করেন নীলাদ্রির আইনজীবী।

সিবিআই সূত্রের খবর, নীলাদ্রি বিভিন্ন স্তরে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার জন্য রেট চার্ট বেঁধে দিয়েছিলেন। সেইমতো এজেন্টদের মারফত টাকা তোলা হতো চাকরিপ্রার্থীদের থেকে। সিবিআই সূত্রের দাবি, প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরির রেট ছিল ১০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া মোটর ভেহিকেলস, খাদ্য দপ্তর, পরিবহণ দপ্তর, সেনাবাহিনী, এমনকী সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার জন্যও রেট বাঁধা ছিল।

Recruitment Scam : কুন্তল ঘোষ ম্যাজিশিয়ান: তাপস, আমার শুধু লস-ই হলো: কুন্তল
ক্ষেত্রবিশেষে সেই রেট ছিল মাথাপিছু ৩০ হাজার থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। যদিও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কতজন চাকরিপ্রার্থী তাঁকে বা তাঁর এজেন্টদের সরাসরি টাকা দিয়েছেন, তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। সিবিআই সূত্রের খবর, নীলাদ্রির মোবাইল ঘেঁটেই বিভিন্ন স্তরে নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত বহু তথ্য মিলেছে। আদালতের নির্দেশে সেই মোবাইল সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *