ঘটনার পর অশান্তি ছড়ায় আমডাঙা থানা চত্ত্বরেও। তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারমারি। খবর পেয়ে দলীয় কার্যালয় যান বিধায়ক রফিকুর রহমান। তাঁকে ঘিরে ধরে পার্টি অফিসের সামনেও চলে বিক্ষোভ, মারমারি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লটারির টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল আর তার জেরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমডাঙায় চলল গুলি। আমডাঙার আওয়ালসিদ্ধি চৌমাথায় তৃণমূল কর্মী আব্দুল জসিমকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। পরপর দুটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও একটি গুলি তৃণমূল কর্মী আব্দুল জসিম এর ডান পায়ে লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয় ওই ব্যক্তিকে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, আব্দুল জসিমকে উদ্ধার করে প্রথমে আমডাঙায় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার হওয়ার পর বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জসিমকে। পুলিশ সূত্রে খবর, গুলি চালনার ঘটনায় অভিযুক্ত লাল্টু ও সুদো বলে এলাকার দুষ্কৃতী। ঘটনার পরেই এলাকা থেকে পলাতক তারা। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় আমডাঙা থানার পুলিশকে। পরিস্থিতে সমাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় আমডাঙা থানার পুলিশ। ঠিক কী কারণে গুলি চলল তার তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় আদহাটা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের ইন্ধনেই দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে বলে দাবি গুলিবিদ্ধ তৃণমূল সমর্থক আব্দুল জসিমের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দলের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে শাসক দল।
দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরেই এই গুলি চালনার ঘটনা ত্বরান্বিত হয়েছে বলে দাবি একাংশের। দলীয় কোন্দলের ঘটনা শুনে বিধায়ক রফিকুর রহমান নিজে ঘটনাস্থলে হাজির হন। তাঁকে ঘিরে দলীয় কার্যালয়ের সামনেও মারমারিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা।
ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ। গণ্ডগোলের জেরে এলাকায় শুরু হয় পুলিশ পিকেটিং। তবে দলীয় কোন্দল নিয়ে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত মুখ খুলতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল যুব ছাত্র সমাবেশের আগের রাতে আমডাঙায় অশান্তির জেরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।