এই সময়: পরিযায়ী শ্রমিকের সুরক্ষায় বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ দিন নবান্নে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্র্যান্ট ওয়াকার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড’ তৈরি হচ্ছে।’ তাঁর কথায়, ‘এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, কোনও রাজ্যেই এই বোর্ড ছিল না।
যে সব শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজে যান, তাঁদের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা এতদিন ছিল না।’ তাঁর সংযোজন, ‘সব পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সরকার নথিভুক্ত করা হবে। যাতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারে।’ করোনাপর্বে লকডাউনের সময়ে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সারা দেশেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।
যে সব শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজে যান, তাঁদের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা এতদিন ছিল না।’ তাঁর সংযোজন, ‘সব পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সরকার নথিভুক্ত করা হবে। যাতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারে।’ করোনাপর্বে লকডাউনের সময়ে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সারা দেশেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।
এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা চা বাগানগুলির দিকেও নজর দিল প্রশাসন। সোমবার, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রায় ৩০ হাজার ছোট চা বাগান রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মলয় বলেন, ‘রাজ্যে ২৮৫টি সরকারি ভাবে নথিভুক্ত চা বাগান রয়েছে। এর বাইরে ছোট বাগানগুলির কোনওটি ৫ বা ১০ একর জমির উপর, কোনওটি বা ১৫ একরের মতো জায়গা নিয়ে।
এত দিন পর্যন্ত সেগুলির উপর সে অর্থে কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের ফলে এই চা বাগানগুলির কর্মীরা চাকরিগত দিক থেকে যাতে সমান সুযোগ-সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করা হবে।’ উত্তরবঙ্গের প্রসিদ্ধ পর্যটনস্থল গজলডোবাতে এত দিন যে পুলিশ ফাঁড়ি ছিল, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেটিকে একটি থানায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।