West Bengal School : ক্লাসে-পরীক্ষায় রোগীবান্ধব হতে হবে স্কুলকে – national commission for protection of child rights has taken several steps for diabetic children


এই সময়: ছোটদের ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীরা স্কুল ও পরীক্ষা চলাকালীন যাতে গ্লুকোমিটার ব্যবহার, ইনসুলিন নেওয়া এবং টিফিনের বাইরেও খাবার খাওয়ার অনুমতি পায়, তা নিশ্চিত করতে চায় জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তাই সম্প্রতি সব রাজ্যের স্কুল বোর্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বোর্ডকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের অধীন স্কুলগুলিকে এই মর্মে নির্দেশ দিতে বলল কমিশন। একই কথা কমিশন জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় স্তরে পরীক্ষা পরিচালনাকারী সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-কেও। এর জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কমিশন। স্বাভাবিক ভাবেই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে স্বাস্থ্য মহল।

ডায়াবিটিসের শিকার শিশুদের অসুখটা আদতে টাইপ-১ ডায়াবিটিস। শৈশবেই হয় বলে একে জুভেনাইল ডায়াবিটিসও বলে। সম্পূর্ণ ভাবে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নির্ভর হওয়ায় দিনের মধ্যে বেশ কয়েক বার তাদের গ্লুকোমিটারে সুগার পরখ করে দেখতে হয়।

Tiljala Murder Case: কেটে নেওয়া হয় কান, উপড়ানো নখ! তিলজলাকাণ্ডে নোটিশ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের
বাইরে থেকে নেওয়া ইনসুলিনের জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা কমে যাওয়ার (হাইপোগ্লাইসিমিয়া) আশঙ্কা থাকে বলে বারবার খেতেও হয় তাদের। কিন্তু আর পাঁচজন পড়ুয়ার মতো দিনের অনেকটা সময় স্কুলে কাটাতে হয় জুভেনাইল ডায়াবিটিসের শিকার ছাত্রছাত্রীদেরও। টিফিনের বাইরে খাবার খাওয়া তো বটেই, পরীক্ষার হলে গ্লুকোমিটার ও ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধার মুখে পড়ে তারা। এ সমস্যা দীর্ঘ দিনের।

অথচ ভারতে এমন ডায়াবিটিসে ভোগা শিশু-কিশোরদের সংখ্যা অন্তত ৩ লক্ষ। বাংলাতে সংখ্যাটা খুব কম করে হলেও ৩০ হাজার। শুধু কলকাতাতেই জুভেনাইল ডায়াবিটিকের সংখ্যা কমপক্ষে ৫ হাজার।

Teacher Recruitment : উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগেও OMR শিটে গরমিল! আদালতে স্বীকার SSC-র
তাই ডায়াবিটিস নিয়ে কাজ করা অনেক চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দাবি ছিল, এই সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ করুক স্কুলগুলি। ইতিবাচক ভূমিকা নিক বোর্ডগুলিও। এ নিয়ে তারা দরবার করেছিল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনেও। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই কমিশন গত সপ্তাহের শেষে এই পদক্ষেপ করেছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডায়াবিটিস অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড ইউ’-এর সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ মজুমদার বলেন, “টাইপ-১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে স্কুল বা কলেজের সহযোগিতা জরুরি হলেও দুর্ভাগ্যবশত তা মেলে না সচরাচর। তাই জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের এই উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। অনেক দেরিতে হলেও এই পদক্ষেপ ভীষণ জরুরি ছিল।”

তাঁর আশা, সংশ্লিষ্ট সব বোর্ড অচিরেই তাদের অধীন স্কুলগুলিকে কমিশনের সুপারিশ মেনে নির্দেশ দিলে, ডায়াবিটিসের শিকার পড়ুয়াদের অধিকারও আগের চেয়ে অনেক বেশি সুরক্ষিত হবে।

জাতীয় শিশু কমিশনের দাওয়াই

বিভিন্ন স্কুল বোর্ডকে কমিশন বলেছে, স্কুলগুলিকে যেন নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে ক্লাস কিংবা পরীক্ষা চলাকালীন জুভেনাইল ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের কোনও অসুবিধা না-হয়। এ ব্যাপারে অবিলম্বে আদেশনামা জারি করার সুপারিশ করেছে কমিশন।

West Bengal Government : পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষায় বোর্ড গড়ে নজির রাজ্যের
সুপারিশ

টিফিন বা মিড-ডে মিলের বাইরেও ওই পড়ুয়ারা যেন ‘মিড-মর্নিং মিল’ এবং ‘মিড-আফটারনুন মিল’ খেতে পারে। সুগারের ওষুধ (ট্যাবলেট ও ইনসুলিন), গ্লুকোমিটার, কন্টিনিউয়াস ও ফ্ল্যাশ গ্লুকোজ মনিটরিং এবং ইনসুলিন পাম্প সঙ্গে রাখায় এবং তা ব্যবহার করায় তাদের যেন কোনও অসুবিধা না-হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *