জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাহুল গান্ধীকে কেন ২ বছরের সাজা? ‘সুরাত কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে আমরা কোর্টে যাব’, ধর্মতলায় ছাত্র-যুব সমাবেশ বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘মানুষ দেখুক, বিচার ব্যবস্থা কাকে সমর্থন করছে, বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন কিনা।
লোকসভা ভোট তখন দোরগোড়ায়। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার চলছিল জোরকদমে। ২০১৯ সালে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। বলেছিলেন, ‘সব মোদীরা কেন চোর হয়’? এরপর মামলা গড়ায় আদালত।
কীভাবে? রাহুল গান্ধি বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিজেপি পূর্ণেন্দু মোদী। তাঁর অভিযোগ, গোটা মোদী সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল। সময় লাগল ৩ বছরেরও বেশি। দিন কয়েক আগে মানহানির মামলার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে দোষী সাব্য়স্ত করে সুরাত আদালত। তাঁকে ২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এমনকী, সাংসদ পদও খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর!
এদিন ধর্মতলায় ছাত্র-যুব সমাবেশের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাহুল গান্ধী যে কথাটা বলেছে, সেটা সমর্থন করি না। কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, মোদী সম্প্রদায়ের লোকেদের চোর বলে যদি সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়, তাহলে ভারবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে ভোটের সময়ে ‘দিদি, ও দিদি’! গোটা মহিলা সম্প্রদায়কে আঘাত করেছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ খারিজ হবে না কেন’? রেয়াত করেননি শুভেন্দু অধিকারীকেও।
অভিষেক বলেন, ‘ওবিসিদের ভাবাবেগে আঘাত করে যদি রাহুল গান্ধীর ২ বছরের সাজা হয়, তাহলে বীরবাহা হাঁসদা, দেবনাথ হাঁসদাদের এ রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা বলেছিল, এরা আমার জুতার তলে থাকে! এসটি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করে শুভেন্দু অধিকারী কেন জেলে যাবে না? আগামী একমাসের মধ্যে পিটিশন চাই’।