স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায়, মনোরঞ্জন মহন্ত কল্যাণপুরে নিজের বাড়ি থেকে মোটরবাইকে করে সোনামুখীর দিকে যাচ্ছিলেন এবং আহত দুজন সোনামুখীর দিক থেকে কল্যাণপুরের দিকে আসছিল। সেই সময় শিবেরবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বিষ্ণুপুর দুর্গাপুর রাজ্য সড়কের ওপর দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আহত হন তিনজন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোনামুখী থানার পুলিশ। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তিনজনকেই চিকিৎসকরা বাঁকুড়া সম্মিলনি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন।
তখনই রাস্তায় মনোরঞ্জন মহন্তের মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনামুখী থানার পুলিশ। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কল্যাণপুরের স্থানীয় এক বাসিন্দা গঙ্গাধর ঘোষ জানান, “মনোরঞ্জন মহন্ত আমাদের গ্রামেরই তৃণমূলের বুথ সভাপতি।
উনি নিজের বাড়ি থেকে নিজের মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন, সোনামুখী যাচ্ছিলেন। রাস্তাতেই ওপর একটি বাইকের সঙ্গে তাঁর বাইকের সংঘর্ষ হয়। শোনা যাচ্ছে ওভারটেক করতে গিয়ে নাকি এই মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই ওনার মৃত্যু হয়নি। বাঁকুড়ার হাসপাতালে রেফার করার পর যখন তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় তাঁর মৃত্যু হয়”।
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, “পরোপকারী মানুষ ছিলেন মনোরঞ্জন। তৃণমূল করলেও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে যারা অন্য দল করেন, তাঁদের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন”।
অভিযোগ উঠেছে, ওই জায়গাটিতে মাঝে মধ্যেই ছোট বড় দুর্ঘটনা লেগে থাকে। স্থানীয় মানুষদের দাবি, অবিলম্বে ওই এলাকায় স্পিড ব্রেকার বসানো হোক। নাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা লেগেই থাকবে, আর কাউকে না কাউকে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হবে।