বাম আমলে চিরকুট চাকরি তথ্য বহিঃপ্রকাশ নিয়ে সরকারি স্তরে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি ব্রাত্য বসুর। তিনি বলেন, ” আপনারা দেখেছেন পার্টির একটা বৈঠকে আমাদের দলের সুপ্রিমো দলের শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন সিপিআইএম আমলে যাঁর যাঁর ভুলভাবে চাকরি হয়েছে, তাঁদের তালিকা বের করুন। সিপিআইএম ইচ্ছা করে মিথ্যা বলছে, মুখ্যমন্ত্রী নাকি শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন তালিকা বের করার।”
শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তি, সরকারি ভাবে এরকম কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা সম্পূর্ণ তৃণমূল কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত। এরপরই সিপিআইএমের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন তিনি। ব্রাত্য জানান, কয়েকজনের নাম প্রকাশ হওয়ায় সিপিআইএম সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে বলছে। পার্টি জানে, কখন সেই তালিকা বের করতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের তাড়া দেবেন না, সব বের হবে। আমাদের পার্টি জানে কখন সেটা বের করতে হবে” ব্রাত্য সিপিআইএমকে কটাক্ষ করে ব্রাত্য জানান, যে কয়েকজনের নাম বেরিয়েছে, তাঁরাই চাইছেন বাকি তালিকা বের হোক। অর্থাৎ, তাদের নাম যেহেতু বেরিয়েছে, তাই বাকিদের নামও বের হোক।
শিক্ষামন্ত্রী ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, এই নাম প্রকাশের ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস ‘ ধীরে চলো ‘ নীতি গ্রহণ করবে। একত্রে কোনও তালিকা বার করা হবে না। ব্রাত্য এদিন বলেন, ‘ যে কটা নাম এখন কড়াইতে ফুটছে, তাঁদের আমরা মাঝে মধ্যে বেসন দেব, তেল ছিটবো, পুড় দেব। ছ্যাঁকা দেব। হাতায় করে তুলবো আবার নামাবো। যে অসভ্যতা সিপিআইএম আমাদের সঙ্গে করেছে, তার জবাব পাবে।”
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী থেকে শুরু করে সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষের পরিবারের সদস্যের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকুটে চাকরি নিয়ে সরব হয়েছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে অন্যান্য তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের নামও। তবে এদিনের শিক্ষা মন্ত্রী বক্তব্য সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে।