হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই রোগী নিজের বেডের নীচে বসে সকলের চোখের আড়ালে টাকা গোনার চেষ্টা করছেন। তাঁর মজুত টাকার অধিকাংশই ৫০০ টাকার নোট। বৃদ্ধ রোগীর এমন অদ্ভূত আচরণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে অন্যান্য রোগীদের। বৃদ্ধের কাণ্ডে বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথম বিষয়টি চোখে পড়ে। তাঁরা দেখতে পান ওই বৃদ্ধ পকেট থেকে গোছা গোছা ৫০০ টাকার নোট বের করে তা গুণছেন। গোণা হয়ে গেলে তা ফের পকেটে ঢুকিয়ে রাখছেন। হাসপাতালের ভর্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ওই বৃদ্ধের কাছে এত টাকা কী করে এল, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বৃদ্ধকে টাকা গুণতে দেখার পর স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সদের তরফে হাসপাতালের সুপারকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সেখানে আসেন সুপার ধীমান মণ্ডল। তিনি এসে গুণে দেখেন যে ওই বৃদ্ধের কাছে থাকা মোট টাকার পরিমাণ ৯৯ হাজার। আপাতত সেই টাকা হাসপাতাল সুপারের কাছেই রয়েছে।
হাসপাতালে (Durgapur Sub Divisional Hospital) ভর্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ওই রোগী বলেন, “আমার শরীর খারাপ ছিল বলে এখানে আনা হয়েছে। আমি জমি কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আমি টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলাম। জুতোরও পাইকারি ব্যবসা রয়েছে আমার।”
হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল (Dhiman Mondal) এই প্রসঙ্গে বলেন, “সম্ভবত শারীরিক সমস্যা ছিল, সেই কারণেই তাঁকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এখনও রোগীর নাম ও পরিচয় জানতে পারছি না। যদি ওঁনার বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগযোগ করা যেত, তবে টাকা তুলে দেওয়া যেত। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে ওনাকে এখানে ভর্তি করা হয়েছ। সংবাদমাধ্যমের সূত্রে যদি ওনার বাড়ির লোক বিষয়টি জানতে পারে তবে ভালো হয়।”
