এলাকার বাসিন্দা সন্ধ্যা নস্করের অভিযোগ, “শিশুদের প্রতিদিন খাবার দেওয়া হয় না। যেদিন দেওয়া হয় সেদিনের খাবারও নিম্নমানের দেওয়া হয়৷ এই বিষয়ে আমরা আগেও এই সেন্টারে এসে জানিয়েছি যে ঠিকঠাকভাবে খাবার দেওয়া হোক। কিন্তু কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি, কেউ কথা শোনেনি।
আর আজ বেশ কয়েকদিন হল বাসন্তী সর্দারের দেখা পাইনি আমরা। তাই সবাই মিলে দল বেঁধে আজ বিক্ষোভ দেখাতে এসেছি”। আরেক অভিভাবক মৌসুমী নস্কর বলেন, “সরকার থেকে খাবারের প্রয়োজনীয় সবজি দেওয়া হলেও তা শিশুদের পাতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এখানেই আমাদের প্রশ্ন খাবার দেওয়া হচ্ছে না যখন, কাঁচামালগুলি যাচ্ছে কোথায়”?
একই অভিযোগ সুফুলি হালদারেরও৷ তিনি বলেন, “পুরো ডিমের বদলে হাফ ডিম দেওয়া হচ্ছে”৷ খিচুড়িতে সবজি না দিয়ে শুধুমাত্র পাতলা ডাল ও চাল দেওয়া হয় বলে জানান মনিকা নস্কর ৷ এদিকে এই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ICDS কর্মী বাসন্তী সর্দার বলেন, “আমার মা মারা গিয়েছেন। তাই আমি বাপের বাড়ি গিয়েছিলাম৷ যে অভিযোগ উঠেছে যে আমি সেন্টারে আসি না, একথা একেবারেই ঠিক না”।
এই সময় নাকি এলাকার মহিলারাই রান্নার দায়িত্ব নিয়েছিলেন৷ তারাই এই রান্না করেছেন বলে তার পাল্টা অভিযোগ করেন বাসন্তী সর্দার৷ তিনি বলেন, “নিম্নমানের যে খাবার দেওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেই ব্যাপারটি আমি থাকাকালীন হয়নি। আমি যে সময় আসিনি, সেই সময় এই নিম্নমানের খাবার দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে”।
তবে ছুটি না নিয়েই তিনি কেন অনুপস্থিত ছিলেন তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বাসন্তী দেবী৷ এই বিষয়ে কুলতলি ব্লক উন্নয়ন সমষ্টি আধিকারিক বীরেন্দ্র অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ আমার কাছে এই বিষয়ে গ্রামবাসীরা কোনও অভিযোগ জানাননি। তবে যখন খবর পেলাম, তখন আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব”।