জোকা ইএসআই হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বুধবার। ছাত্রীদের হোস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ইয়েতি গর্গ-এর জোকা ই এস আই হসপিটাল এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। ছাত্রীর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আগড়ায়।
এদিন তাঁর সহপাঠীরা প্রথম ঝুলন্ত দেহটি লক্ষ্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতাল চত্বরে। খবর দেওয়া হয় ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশকে। আজ কলেজের হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ছাত্রীটি কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নাকি কোনও প্রেম ঘটিত বিষয় ছিল সে সম্বন্ধে মুখ খুলতে চাননি সহপাঠীরা। ছাত্রীটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর ছাত্রীটির দেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতি বছরই মেডিক্যাল কলেজে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী ডাক্তারি পড়াশোনা করতে আসেন। চোখে স্বপ্ন নিয়ে আসেন চিকিৎসক হওয়ার। তার মাঝেই এমন কী ঘটল এরকম এক তরতাজা পড়ুয়া আত্মহননের মতো পথ বেছে নিল? আত্মহত্যার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সহপাঠীদের মধ্যেও।
প্রসঙ্গত, গত মাসে অগাস্ট ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে এক ডাক্তারি পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার নাম প্রদীপ্তা দাস। ২ বছরের বয়সী এই ঝকঝকে তরুণীর মৃত্যুতে হতবাক তাঁর আত্মীয় প্রতিবেশীরা।
ডাক্তারি চূড়ান্ত বর্ষের এই ছাত্রীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে বলে জানা যায়। ঠিক কী কারণে তিনি আত্মঘাতী সে সম্বন্ধে নির্দিষ্ট করে কিছু জানতে পারেনি সহপাঠীরা। বেনিয়াপুকুর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়।