একের পর এক কর্মসূচির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বুধবার সকাল থেকেই। রাস্তা থেকে উধাও বাস, সংখ্যা কমেছে অটো-ট্যাক্সিরও। ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি আটকে রয়েছে অফিস টাইমে। দুপুরের পর থেকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শহরের কোথায় কী কর্মসূচি?
> কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে শহিদ মিনারের অদূরে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
> কলকাতা হাইকোর্টের শর্তসাপেক্ষে অনুমতির পরই শহিদ মিনার ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনা মঞ্চের ঢিল ছোড়া দূরত্বে জনসভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
> BJP ধরনায় বসছে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে। ধরনা মঞ্চে হাজির থাকার কথা সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্য BJP-র শীর্ষ নেতৃত্ব এবং দক্ষিণবঙ্গের দলীয় বিধায়কদেরও।
> কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং রাজ্যের তরফে দিল্লিতে হিসেব না পাঠানো, এই দুই দাবি নিয়ে বুধবার দুপুরে বামেরা মিছিল করবে মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে। মল্লিক বাজার ঘুরে তা শেষ হবে পার্ক সার্কাসের লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের সামনে।
> শহরে প্রতিবাদ মিছিল রয়েছে কংগ্রেসেরও।
কোন কোন রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা?
কলকাতায় পর পর মেগা ইভেন্টের জেরে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। বেলা ১২টা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা কর্মসূচির কারণে বন্ধ করা হতে পারে ডোরিনা ক্রসিং, রেড রোড সংলগ্ন এলাকায়। সে ক্ষেত্রে ওই সময়ের জন্য গাড়ির অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে লেনিন সরণী, রেড রোড, ডোরিনা ক্রসিং, এসপ্ল্যানেড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মতো রাস্তাগুলিতে।
শহিদ মিনার ময়দানে অভিষেকের জনসভার জন্যও ময়দান, পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে BJP-র ধরনা কর্মসূচির জেরে অবরুদ্ধ হতে পারে রাস্তা। বেলা ৩টের পর থেকে শিয়ালদা, মৌলালি ক্রসিং থেকে রামলীলা ময়দান পর্যন্ত বামেদের মিছিলের জেরে যান চলাচল বন্ধ থাকতে পারে। ওই এলাকার গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা।
তবে দিনভর ঠাসা কর্মসূচি থাকলেও কোনও ট্রাফিকের রুট পরিবর্তন করেনি লালবাজার। এদিন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের (Kolkata Traffic Police) এক একাধিকারিক বলেন, “কোনওরকম রুট পরিবর্তন করা হয়নি। কোনও রাস্তা বন্ধ করা হচ্ছে না। আর পাঁচটা দিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে শহরের প্রতিটি রুট। তবে যে যে সময় রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, মিছিল রয়েছে, সে সময় কোও যানজট দেখা গেলে আমরা গাড়িগুলিকে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেব। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সচেষ্ট লালবাজার।”
অর্থাৎ পর পর রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেও শহরের ট্রাফিকের হাল স্বাভাবিক রাখতে আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা রাখা হয়নি। স্টেজে মেক আপ করাতেই আত্মবিশ্বাসী ট্রাফিক কর্তারা। সকাল থেকে যানজটের শিকার নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, অন্যদিনেই এত যানজট হয়, সেখানে এতগুলি কর্মসূচির মধ্যে রাস্তায় বেরলে বেহাল দশা হবে।