এই সময়: শুধুই কি ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে তালগোল পাকিয়ে দেয় সে? শুধুই ধীর গতির বলেই কি তার অন্তর্জলি যাত্রা ঘটছে? নাকি অন্যান্য যানবাহনকে পথ ছেড়ে দিতে গিয়ে অবলুপ্তির দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে তিলোত্তমার ট্রাম? প্রশ্নের অন্ত নেই। জবাব মিলুক না মিলুক, শহরের রাস্তা থেকে গুটিয়ে ফেলা হচ্ছে ট্রামলাইন। কিন্তু মহানগরের বিশিষ্টজনদের বড় অংশ মনে করছেন, ট্রামের সঠিক মূল্যায়নই হয়নি।
কতদিনে ট্রাম তুলে ফেলা যাবে–এই ধারণা নিয়েই ট্রামের ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই অবস্থা বদলে শহরের রাস্তায় ট্রাম চালানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন শহরের বিশিষ্টজনেরা। তাঁদের অনুরোধ, নতুন করে ট্রাম নিয়ে পর্যালোচনা শেষ হওয়ার আগে ট্রামলাইন পিচ দিয়ে ঢেকে ফেলার কাজ বন্ধ থাকুক।
কতদিনে ট্রাম তুলে ফেলা যাবে–এই ধারণা নিয়েই ট্রামের ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই অবস্থা বদলে শহরের রাস্তায় ট্রাম চালানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন শহরের বিশিষ্টজনেরা। তাঁদের অনুরোধ, নতুন করে ট্রাম নিয়ে পর্যালোচনা শেষ হওয়ার আগে ট্রামলাইন পিচ দিয়ে ঢেকে ফেলার কাজ বন্ধ থাকুক।
যে কয়েক জন চিঠি পাঠিয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছেন অপর্ণা সেন, অরুণ লাল, গৌতম ঘোষ, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রূপম ইসলাম, অমিত চৌধুরী, কৌশিক সেন, বনানী কক্কর, সুকান্ত চৌধুরী, মুদার পাথেরিয়া প্রমুখ। তাঁদের বক্তব্য, যে সব যুক্তি দিয়ে ট্রাম তুলে ফেলার ব্যবস্থা হচ্ছে, তা অর্ধসত্য। তাঁরা মনে করছেন, বর্তমান সময়ে কলকাতার মতো দূষণের কবলে থাকা শহরে ট্রামের মতো পরিবেশবান্ধব যানই আরও বেশি করে দরকারি।
বৈদুত্যিক বাসের ব্যবহার তা আরও বেশি করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। শহরের কম আয়ের বাসিন্দা, পড়ুয়া, বয়স্ক মানুষ, ছোট ব্যবসায়ীদের জন্যেও ট্রামের বেঁচে থাকা জরুরি। ফলে ট্রামকে আরও যাত্রীবান্ধব করে গতি বাড়িয়ে ফিরিয়ে আনা হোক। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নতুন করে মূল্যায়ন করা হোক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন রেখেছেন তাঁরা।