এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই আম্বেদকর মূর্তির সামনে এই ধরনা মঞ্চে দেখা গিয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, জোৎস্না মান্ডি, সাবিনা ইয়াসমিন, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মনোজ তিওয়ারি, বীরবাহা হাঁসদা, মাস ভুঁইয়া, সুজিত বসু, ইন্দ্রনীল সেন, বাবুল সুপ্রিয়ো, সাংসদ দোলা সেনকে। রয়েছেন অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুভদ্রা চক্রবর্তীও।
ধরনা মঞ্চে বাজানো হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ও সুরে তৈরি গান। মুখ্যমন্ত্রীর বসার জন্য যে উঁচু জায়গা তৈরি করা হয়েছে, সেখানেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সংবিধান রাখেন। সেটিকে ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে দেখা যায় তাঁকে। এটিই তাঁর প্রতীকী প্রতিবাদ বলে জানিয়েছেন মমতা। আম্বেদকর মূর্তির নীচে মূল মঞ্চের দু’পাশে তৈরি করা হয়েছে দুটি অস্থায়ী ছাউনি।
কী কী কারণে এই ধরনা?
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের সাফল্যে প্রতিহিংসাপরায়ণ BJP সরকার। বাংলাকে তার ন্যয্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকার ১ লাখ কোটি টাকা পায়। ১০০ দিনের কাজে বকেয়া রয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই প্রকল্পের টাকা সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে কাজ করেও ন্যয্য মজুরি থেকে বঞ্চিত প্রায় ১৭ লাখ পরিবার।
পাশাপাশি, আবাস যোজনায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ১১ লাখ ৩৬ হাজার পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে পাকা বাড়ি থেকে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি মারফত বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে আদানির স্বার্থে LIC-র বেসরকারিকরণ, রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাঙ্কে গচ্ছিত জনগণের অর্থ নয়ছয় করার মতো বিষয়গুলির বিরুদ্ধে তদন্তেরও দাবি তুলেছেন মমতা।
অন্যদিকে, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চের অদূরে শহিদ মিনার ময়দানে তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুই রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে শহরের রাস্তায় যানজটের সম্ভাবনা রেড রোডে বন্ধ করা হয়েছে যান চলাচল। গাড়ির গতি অত্যন্ত স্লথ ডাফরিন রোড, ডোরিনা ক্রসিং, জওহরলাল নেহরু রোড, মেট্রো চ্যানেলে। গোটা এলাকাকে নিরাপত্তার কড়া চাদরে মুড়ে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ।