পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আশু শেখ আসানসোলের অন্ডালে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। বুধবারই সিভিক ভলেনটিয়ারকে মারধর কাণ্ডে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে জঙ্গিপুর মহুকুমা আদালতে তোলে জিআরপি। সোমবার নিউ ফরাক্কা স্টেশনে কর্মরত এক সিভিক ভলেনটিয়ারকে মারধর করেন ট্রেন ধরতে আসা এক যাত্রী। নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে চলতে থাকে দেদার কিল, চড়, ঘুষি। স্টেশনে সকলের সামনেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিগ্রহ করা হয়।
ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে নিউ ফরাক্কা জিআরপি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত সিভিক ভলেনটিয়ার রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে জিআরপি আধিকারিকরা। তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয় তদন্ত প্রক্রিয়া। আদালতে পেশের পর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে পুলিশ।
সোমবার নিউ ফরাক্কা স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই সিভিক ভলান্টিায়ারকে আক্রমণ করেন ওই ব্যক্তি। অভিযুক্ত আশু শেখ ও তাঁর সঙ্গীরা মদ্যপ অবস্থায় সেখানে অকারণে চিৎকার-চেঁচামচি করছিল। এমনকী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় সেখানে উপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁদের বাধা দেয়। গালিগালাজ করতে নিষেধ করে। তখনই পুলিশ পরিচয়ে তাঁকে মারধর করে ওই ব্যক্তি।
সিভিক ভলান্টিয়ারকে মার খেতে দেখে কয়েকজন যাত্রী সেখানে ছুটে গিয়ে তাঁকে বাধা দেয়। জিআরপির ওসিও ঘটনার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসেন। ততক্ষণে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত যাত্রী। বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।
সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তর গ্রেফাতারির পর স্থানীয় এক বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেন, “কখনও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও এক্ষেত্রে তাঁদের কোনও দোষ ছিল না। পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করেছে জেনে খুশি হলাম। এমন ঘটনাকে কখনও প্রশ্রয় দেওয়া উচিৎ না।”