তাঁকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে, কী ভাবে শিক্ষা দুর্নীতিতে তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন? সুবীরেশই কি ওএমআর শিট বিকৃতির নির্দেশ দিতেন, না কি শিক্ষা দপ্তরের আর কারও সঙ্গে তাঁর আঁতাঁত ছিল? সিবিআই সূত্রে খবর, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পরীক্ষার জন্য নাইসার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল এসএসসি। পরীক্ষার ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র মূল্যায়নেরও দায়িত্বও ছিল নাইসা উপরেই।
পুরো বিষয়টি দেখভাল করতেন নীলাদ্রি নিজেই। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ওএমআর শিটের হার্ড কপি জমা না দিলেও এসএসসি গ্রুপ-সি পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করে। পরে সেই হার্ড কপি দেওয়া হয়। এমনকী, নাইসার সঙ্গে ৭৭ লাখ টাকার চুক্তি হলেও, তারা অনেক কাজই অসম্পূর্ণ রেখে দেয়। যদিও অভিযোগ, সুবীরেশের মদতে ওই টাকার ৮০ শতাংশ পেয়ে গিয়েছিলেন নীলাদ্রি।
কেন তাঁকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সে বিষয়েও নীলাদ্রিকে জেরা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সুবীরেশের কথাতেই ওয়ার্ক ডান সার্টিফিকেটও দিয়ে দেওয়া হয় নাইসাকে। তদন্তকারীদের দাবি, এ ভাবেই শিক্ষা দপ্তরে ওএমআর শিট বিকৃত করে প্রতারণার কারবার চলে। তাতে লাভবান হন শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা। এখনও পর্যন্ত শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের আট হাজার ওএমআর শিট বিকৃত করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে-এমনটাই তদন্তে উঠে এসেছে। এর পিছনে নীলাদ্রিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।