কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইভাবে ধরনা দিতে পারেন না বলেই জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, “উনি কোনও নিয়ম মানেন না। ধরনা চলাকালীন কেউ হয়তো বলেছেন যে এভাবে মুখ্যমন্ত্রী ধরনা দিতে পারেন না। সেই কারণে মাইক টেনে নিয়ে উনি জানিয়েছেন যে, দলের সুপ্রিমো হিসেবে তিনি ধরনা দিচ্ছেন। আমি ২১ বছর ঘর করেছি, সেই কারণে এটা জানি যে তৃণমূল কোনও পার্টি নয়। একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।”
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর গলায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এদিনের সভা থেকে সিপিএম ও তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “সিপিএম আর তৃণমূল একই। সিপিএম ২ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা চাপিয়ে গিয়েছিল। মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ৬ লাখ কোটিতে পৌঁছে দিয়েছেন। সিপিএম ১ কোটি বেকার তৈরি করেছিল, মমতা তা ডবল করে ২ কোটি করে দিয়ছেন।”
কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও মুখ খুলেছেন শুভেন্দু। কেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতর ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষে বিধিনিষেধ চালু করল, তার জবাবে শুভেন্দু বলেন, “মোদীজি ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত রাজ্যকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে ঢালাও অর্থ দিলেও প্রত্যেকটা প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে।”
শুভেন্দুর অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে জব কার্ড হোল্ডারের নাম মুছে দিয়েছে সরকার। আধারের সঙ্গে জব কার্ড লিঙ্ক করার কথা কেন্দ্র বলতেই নাম মুছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, “আমি ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীকে ফেক জব কার্ড নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।”
বিরোধী দলের সাংসদ বিধায়কদের সরকার কোনও গুরুত্ব দেয়না বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। এমনকী কোনও সাংবিধানিক পরিকাঠামো মেনে চলা হয়না বলে দাবি করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হলেও কোথাও সন্ত্রাস হয় না। কারণ এখানে আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলে।