আজ সকাল ৮টা নাগাদ এই রুটে যাত্রী বোঝাই অটো লেবুখালীর দিকে আসছিল। পথ কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের পুকুরে পরে যায় সেই অটো। এতে আহত হন প্রায় ৬ জন। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে স্যান্ডেলভিল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রাস্তা ভালো হওয়ার জন্য বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলছে। ঠিক তখনই সামনে কুকুর চলে আসে। আর তাতেই অটোটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুকুরের মালিক মদন মণ্ডল তিনি জানিয়েছেন, “গাড়িটি পুকুরে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুকুর ভর্তি মাছ লাফাচ্ছিল। এরপর প্রচুর মাছ মরেও গিয়েছে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল আমার”। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি রাস্তা ভালো হওয়ার জন্য গাড়ি দ্রুত চলছে। যার কারনে প্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে গাড়িগুলিকে, সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে।
যান নিয়ন্ত্রণে বাম্পার তৈরি করা হোক তাহলে গাড়ির গতিবেগ কমবে, দুর্ঘটনাও এড়ানো যাবে। সেই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি থাক, তাহলে যান নিয়ন্ত্রণে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমবে। জানা গিয়েছে, এই রাস্তায় গত ১৫ দিনে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি রাস্তার উপর বাম্পার তৈরি হোক তাহলে দুর্ঘটনা কমবে। এই বিষয়ে আমবেরিয়ার গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রতিনিয়ত আমবেরিয়া এলাকায় পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনকে এলাকায় স্পিড ব্রেকার বসানোর জন্য বহুবার জানানো হয়েছে তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
আজ পথ দুর্ঘটনা ঘটার পর আমরা বাধ্য হয়ে ফের এই বিষয়ে আবেদন করেছি পুলিশ আমাদের জানিয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এলাকায় স্পিড ব্রেকার বসানো হবে। কিন্তু শুধু আশ্বাসবানীতে আমরা আর বিশ্বাস করিনা। যতদিন না স্পিড ব্রেকার বসছে, আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না”।
এরপরেও যদি পুলিশ প্রশাসন তাঁদের দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে এই গ্রামের বাসিন্দারা শেষ পর্যন্ত আন্দোলনে নামতে বাধ্য থাকবেন বলে জানিয়েছেন। কারন প্রায় দিনই তাঁদের এলাকায় দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না গ্রামের মানুষ।