West Bengal Health Department : সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার নিয়ে বিশেষ সেল তৈরি রাজ্যের – west bengal government created a special cell with senior resident doctors


এই সময়: সেই ২০১৬ থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ডাক্তারির উচ্চশিক্ষায় বন্ড-প্রথা। এর ফলে সরকারি চিকিৎসক নন, এমন প্রার্থী এমডি-এমএসের মতো স্নাতকোত্তর কিংবা ডিএম-এমসিএইচের মতো পোস্ট-ডক্টরাল কোর্স পাশ করে নিজের ইচ্ছেয় বেসরকারি চাকরি করতে পারেন না। পাশ করার পর সরকারি ক্ষেত্রে তাঁদের তিন বছর বাধ্যতামূলক পরিষেবা দিতে হয় সিনিয়র রেসিডেন্ট (এসআর) হিসেবে। গত এক বছরে সেই সংখ্যা অনেকটা বেড়েছেও।

অন্য দিকে এসআর-দের কর্তব্যপরায়নতা নিয়ে ইদানীং কিছু অভিযোগ উঠছে বলে খবর স্বাস্থ্য-সূত্রে। এ বার তাই সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ ও তাঁদের উপরে নজরদারিতে পৃথক সেল গঠন করল স্বাস্থ্য দপ্তর।

Duare Sarkar : এবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, কী ভাবে আবেদন করবেন?
মঙ্গলবার এই মর্মে একটি আদেশনামা জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। চার সদস্যের বিশেষ সেলে রয়েছেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা শাখার উপসচিব ও উপ-অধিকর্তা এবং চিকিৎসা প্রশাসন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-সচিব ও রাজ্যের উপ-সহ স্বাস্থ্য অধিকর্তা। আদেশনামায় বলা হয়েছে, এসআর-দের বিরুদ্ধে ওঠা যে কোনও অভিযোগ খতিয়ে দেখবে এই সেল।

পাশাপাশি একটি পোর্টালও খোলা হবে। সেই পোর্টালে এক ক্লিকেই জানা যাবে রাজ্যে বর্তমানে কর্মরত অন্তত হাজার দুয়েক সিনিয়র রেসিডেন্ট সম্পর্কে যে কোনও বুনিয়াদি তথ্য। সরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন অবশ্য মনে করছে, এই বন্ড প্রথাটাই তুলে দেওয়া উচিত সাধারণ মানুষের যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার স্বার্থে। তাই সদ্যগঠিত এই সেলকে বাঁকা চোখেই দেখছেন তাঁরা।

Bardhaman TMC : দাতব্য চিকিৎসালয় রাতারাতি বদলে গেল তৃণমূল কার্যালয়ে! বিতর্ক পূর্ব বর্ধমানে
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, সরকারি চিকিৎসক নন, এমন প্রায় ৭০০ চিকিৎসক প্রতি বছর এমডি-এমএস এবং ডিএম-এমসিএইচ পাশ করেন। গত বছরেও সংখ্যাটা ছিল ৭২০। প্রত্যেককে তিন বছর কাজ করতে হয় সরকারি হাসপাতালে।

তাই সেই হিসেবে বর্তমানে প্রায় ২১০০ সিনিয়র রেসিডেন্ট কর্মরত রাজ্যে। মাসে তাঁরা ৭০ হাজার টাকা করে বেতন পান। তবে অন্য সুযোগ-সুবিধা নেই। কিন্তু কাজের চাপ মারাত্মক। আবার উচ্চশিক্ষা শেষ করার পর অনেক এসআর নিজের শাখার রোগী দেখারও সুযোগ পান না অধিকাংশ সময়ে।

Recruitment Scam : শিক্ষক দুর্নীতির মাঝেই ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে মালদা মেডিক্যালে হাজির চাকরিপ্রার্থী! তারপর…
কেননা, গ্রামীণ, ব্লক, মহকুমা বা জেলা হাসপাতালে নেই ডাক্তারির সিংহভাগ বিশেষজ্ঞ শাখা। এমন পরিস্থিতির কারণেই এসআর-রা কর্তব্যে অবহেলা করে ফেলেন বলে মনে করেন চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা।

সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, “বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সদ্ব্যবহার না করে বন্ডেড লেবারের মতো সিনিয়র রেসিডেন্ট করে কম বেতনে কাজ করানো হচ্ছে। তিন বছরের মেয়াদ ফুরোলে তাঁদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ না করে শূন্য জায়গা ভরাট করা হচ্ছে নতুন ব্যাচের এসআর-দের দিয়ে। এ ভাবে একটা ঠিকঠাক স্বাস্থ্য পরিষেবা চলতে পারে না।”

Medical Negligence: মত্ত অবস্থায় শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার চেষ্টা! বরখাস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পিয়ন
তাঁর প্রশ্ন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও স্থায়ী চাকরি না-মিললে কি প্রত্যাশিত দায়বদ্ধতা আশা করা যায়? স্থায়ী নিয়োগের বদলে পৃথক সেল খুলে পরিষেবার মান-বৃদ্ধি সম্ভব নয় বলেই মত তাঁর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *