এই সময়: বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিভাগীয় প্রধানকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই মহিলাকে বেআইনি নিয়োগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়কেও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সব মিলিয়ে এই ছ’লক্ষ টাকা দিতে হবে মামলাকারী বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী পঙ্কজ মণ্ডলকে।
নথিপত্র দেখে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান – একেবারে স্বজনপোষণের জন্যই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল অযোগ্য প্রার্থীকে। তিনি বর্তমানে একটি বিভাগের প্রধান। তাই এত বছর পরে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত না করলেও ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিচ্ছে আদালত।
নথিপত্র দেখে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান – একেবারে স্বজনপোষণের জন্যই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল অযোগ্য প্রার্থীকে। তিনি বর্তমানে একটি বিভাগের প্রধান। তাই এত বছর পরে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত না করলেও ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিচ্ছে আদালত।
সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৩ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর-সহ ইতিহাস, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে। আবেদন জানান সাতজন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এমন একজনকে নিয়োগ করে, যাঁর স্নাতকোত্তর হিউম্যান রাইটসে।
হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন পঙ্কজ মণ্ডল। তাঁর আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য ও অজিত মিশ্র নথি দিয়ে দেখান, কী ভাবে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় হলফনামা দিয়ে জানায়, নিয়োগ কমিটিই ওই মহিলাকে যোগ্য মনে করায় তাঁকে নিয়োগ করেছে। দু’জনের নামের প্যানেল তৈরির কথা বললেও একজনের নামই জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়।