অভিযোগ উঠেছিল, শিশুটিকে স্কুলের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। স্কুল ছুটির পর অভিভাবকরা গিয়ে দেখেন, মেয়ে অঝোরে কাঁদছে। পোশাকে রক্ত লেগে। অভিভাবকরা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জানতে পারেন, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে অভিভাবকদের আন্দোলন শুরু হয়। দুই অভিযুক্ত শিক্ষক মহম্মদ মফিজুল এবং অভিষেক রায়কে পকসো আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ দিন আদালতের রায়ের পর নির্যাতিতা শিশুটির মা-বাবা আবেগে ভেসে যান। বাবার কথায়, ‘এই সাড়ে পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন লড়াইটা লড়েছি। মেয়ের মুখের দিকে তাকাতে পারিনি।’ সরকারি কৌঁসুলি মাধবী ঘোষ জানান, দুই অভিযুক্তকেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ), পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় (শিশু ধর্ষণ) দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল বিজয়া ভরদ্বাজ এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।