তাঁর বয়সের কথা মাথায় রেখেই অত্যন্ত সতর্কভাবে শুরু করা হয় চিকিৎসা। জানা গিয়েছে, ডাঃ সঞ্জয় ঘোষের তত্ত্বাবধানে তার অসুস্থতা থেকে ওই শতবর্ষী বৃদ্ধা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পর এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ায় গতকাল বুধবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাচক্রে এদিনই তিনি তার ১০৩ তম জন্মদিনে পা রাখলেন। সেই অনুযায়ী হাসপাতালে তাঁকে ডাক্তার থেকে শুরু করে নার্স ও অন্যান্য রোগীরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। হাসপাতালের তরফ থেকে তাঁর হাতে পুস্পস্তবক তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাওড়ার কদমতলায় মেয়ের সঙ্গে থাকেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তার নিজের অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি হাসপাতালে উপস্থিত অন্য রোগীদের প্রতি বেশ সদয় ছিলেন এবং নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নিতেন। এদিন হাসপাতাল ছাড়ার আগে তাদের প্রত্যেককে তার আশীর্বাদ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “সুস্থ হও”। হাওড়া ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতাল তাকে তার স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
সেই সঙ্গে হাসপাতালে তার জন্মদিন উদযাপনও করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় ওই শতবর্ষী বৃদ্ধা চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের নিষ্ঠার প্রশংসা করেন। সকলকে নিজের আশীর্বাদ দিয়ে আসেন। তাঁর ব্যাপারে বলতে গিয়ে হাসপাতালের এক ডাক্তারবাবু বলেন, “ওনার বয়স এখন ১০৩। কিন্তু মানসিকভাবে তিনি এখনও যৌবনে বাস করছেন।
অসম্ভব মনের জোর ওনার। যখন পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন আমরা ওনার বয়সের কারনে সুস্থ হয়ে ওঠা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। কিন্তু আমাদের মেডিকেল স্টাফদেরই ভুল প্রমান করে উনি শুধু মাত্র নিজের মানসিক জোরে আবার সুস্থ হলেন, এমনকি আরও ভালো অবস্থায় বাড়ি ফিরে গেলেন। হাসপাতালের তরফ থেকে আমরা ওনার আরও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সবসময় উনি সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা করি”।