এরপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ”বিজেপিকে রুখতে আমি একা তো জোট বাঁধব না। সবাইকে (বিরোধীদের) এক করে নিয়ে জোট বাঁধব। বিরোধী মানে কী সব আপনার চাকর বাকর নাকী? কী ভেবেছেন আপনার? আমরা ভদ্র মার্জিত হতে পারি কিন্তু ভয় দেখালে মোটেও ভয় পাব না। টাকার খেলা দিয়ে তা ভাঙতে পারবেন না। আপনারা যতই টাকা দেখান, ইডি-সিবিআই দেখান। ভয় পাই না। আজ ক্ষমতায় আছেন, কাল হেরে গেলে ওইগুলোই আপনাদের পিছনে পড়বে। এরা বিচারকদেরও ভয় দেখায়। এক একজন এখন যা বড়বড় কথা বলছে।”
তৃণমূল নেত্রীর মতে, ”বাংলাকে ভয় পায়। তাই এখানে ভাতে মেরে দাও। ভোটের আগে সব নেতাদের জেলে ভরে দাও, যাতে আর সংগঠনের কাজ করতে না পারে। বাংলায় ভোট হলে ছয় দফা, সাত দফা কখন দেখবেন ১০০ দফা। আর কর্নাটকে এক দফায় ভোট। এত আত্মবিশ্বাস! এর উচিত জবাব পাবেন পরের বছর। যখন সমস্ত বিরোধীরা এক হয়ে আপনাদের হটাবে। ভারত শুধু একা বিজেপি রাজ্যের নয়। দেশটা সব রাজ্যেরই।”
এছাড়াও একশো দিনের কাজের টাকা থেকে বাংলার বাড়ি, পড়ুয়াদের স্কলারশিপের টাকা না দেওয়ার জন্যেও ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল সু্প্রিমো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দিনও তৃণমূল নেত্রী নাম না করে আবারও রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করেন।
এদিন সন্ধে সাতটায় দুদিন ব্যাপী ধরনা অবস্থানের সরকারিভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।