এদিন ফের কেন্দ্র বঞ্চনা করেছে বাংলাকে, ”এই অভিযোগ তুলে বলেন, সরকারি প্রকল্পে পাঁচবার প্রথম হওয়ার খেসারত দিচ্ছে বাংলা। একুশে ভোটে হারের পর থেকে বাংলার টাকা দিচ্ছে না। এরাজ্যে প্রায় ৬৩টি স্কিম বন্ধ করে দিয়েছে। সড়ক প্রকল্পে আমরা চারবার প্রথম হয়েছি। গ্রাম সড়কের টাকা বন্ধ। গ্রামের মানুষ গর্তে গর্তে হাঁটবেন আর চার বছর অন্তর প্রচারে এসে গ্রামের মানুষের মন ভোলাতে ৫০০ টাকা করে গুঁজে দিচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য ছাড়া বাকি রাজ্যে টাকা বন্ধ। সবথেকে বেশি প্রকল্প বন্ধ বাংলায়। প্রায় ৬৩টি প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে।”
এখানেই শেষ নয়, আরও ক্ষেত্রে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বলেন, ”অনগ্রসর শ্রেণীর পড়ুয়াদের টাকা বন্ধ। ২৩ লক্ষ পড়ুয়াকে স্কলারশিপ দেয়নি আমাকে দিতে হচ্ছে। আমাকে এর জন্য আরও ৭২০ কোটি টাকা দিতে হল। গরিব মানুষের টাকা বন্ধ। মানুষকে কাজ করিয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা দেয়নি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” সাংসদদেরা বারবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বারবার প্রকল্পের টাকা দেওয়ার দরবার করেছে। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনবার দেখা করেছি। তবুও কোনও লাভ নেই। পরের বার দিল্লি গিয়ে চুলা জ্বালাব।” এদিনের মঞ্চ থেকে বাংলার প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পেরও সমালোচনা করেন। জিএসটি ব্যবস্থা ও আয়ুষ্মান ভারত-এর প্রয়োজনীয়তারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।