সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন উদয়ন। তিনি বলেন, “সিবিআই তদন্তের নির্দশে আমাদের কর্মীদের জন্য ভালো। গরম লোহাকে যত পেটানো যায়, তা অস্ত্রে পরিণত হয়। আমার মনে হয় লোহার উপর এই ধরনের যত বাড়ি দেওয়া হলে তা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।”
তিনি আরও বলেন, ” মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সেই কারণে আমি এই বিষয়ে কোনও কিছু বলতে পারব না। হাইকোর্টের আশা সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। সিবিআই যদি সত্যি নিরপেক্ষ তদন্ত করে তবে দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। সেদিন কারা বাঁশ ও লাঠি নিয়ে দৌড়াচ্ছিল, তা প্রমাণিত হয়ে যাবে। সেদিনের গোটা ঘটনাটাই সংবাদমাধ্যমের সামনে হয়েছিল।”
সিবিআই তদন্তে যে তিনি যে একটু বিচলিত নন, সে কথা বোঝানোর চেষ্টা করেন উদয়ন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। এটা নীতি ও আদর্শের ব্যপার। এই জেলার এক রাজবংশী যুবককে গুলি করে হত্যা করেছিল বিএসএফ। সেই দফতরের মন্ত্রী হয়ে নিন্দা না করে তিনি প্রশংসা করেছেন। তিনি কোথাও গেলে তাঁকে কালো পতাকা দেখানোটা দলের সিদ্ধান্ত। বুড়িরহাটে সেই ঘটনাই ঘটেছে। তাঁর নেতৃত্বেই সেখানে যা ঘটনার ঘটেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে, তা সবার সামনে আসবে। দলের সিন্ধান্ত বহাল থাকবে ও মৃত যুবকের পরিবার বিচার পাবে না, ততদিন রাজনৈতিকভাবে আমরা প্রতিবাদ করব।”
২৫ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে বুড়িরহাটের আক্রমণের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়। বিজেপির তরফে নিশীথের কনভয়ে গুলি চালনোর অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী বোমবাজি করা হয় বলেও বিজেপি সমর্থকরা অভিযোগ করেন। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল যে বিজেপি ঝামেলা পাকানোর লক্ষ্যেই নিশীথের নেতৃত্বে জমায়েত করেছিল। সিবিআই তদন্তে নতুন কোনও তথ্যে উঠে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।