শুক্রবারই প্রিয়ঞ্জনা ব্যাঙ্কক থেকে বাড়ি ফিরেছে। অন্যদিকে প্রিয়ঞ্জনার এই সাফল্যে তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি খুশি এলাকার মানুষ ও তার সহপাঠীরা। জানা গিয়েছে, গত ২৭ শে এবং ২৮ শে মার্চ ৮ম আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে। প্রতিযোগিতায় ট্র্যাডিশনাল, রিদিমিক এবং আর্টিস্টিক বিভাগের যোগাসন প্রতিযোগিতায় ভারত ছাড়াও সাতটি দেশের প্রতিযোগীরা ৮ টি ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছিল। হাওড়া জেলা থেকে প্রিয়ঞ্জনা জানা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল।
গত ২৮ শে মার্চ হওয়া প্রতিযোগিতায় প্রিয়ঞ্জনা ট্র্যাডিশনাল যোগাসনে সোনার পদক, রিদিমিক যোগাসনে সোনার পদক এবং আর্টিস্টিক যোগাসনে রুপোর পদক লাভ করে। প্রিয়ঞ্জনা জেলা, রাজ্য, জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়ার পর এবার আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেল।
মাত্র ৩ বছর বয়সে বাড়িতে যোগাসনের হাতেখড়ি প্রিয়ঞ্জনার। যোগাসনের পাশাপাশি নৃত্যের প্রতি ঝোঁক বাড়ে শ্যামপুরের এই কিশোরীর। পরবর্তী সময় নৃত্য শিক্ষিকার পরামর্শে বছর তিনেক আগে প্রিয়ঞ্জনা যোগাসন শেখার জন্য ভর্তি হয় উলুবেড়িয়ার বাগ বডি বিল্ডিং সেন্টারে।
এখানেই শিক্ষক প্রদীপ দেড়ের কাছে তার যোগাসন শেখা। শুক্রবার প্রিয়ঞ্জনা জানায়, “আমার বাবা বিদ্যুৎ দফতরের সামান্য মিটার রিডার। আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মাঝেই পরিবারের সদস্যদের উৎসাহে উলুবেড়িয়ার সেন্টারে যোগাসন শেখার জন্য ভর্তি হই। তবে শ্যামপুর থেকে নদী পেরিয়ে উলুবেড়িয়ায় যেতে প্রচুর সমস্যা হত”।
প্রিয়ঞ্জনা জানায়, “গত ২৬ শে মার্চ ব্যাঙ্ককের উদ্দ্যেশে রওনা দেওয়ার পর ২৮ শে মার্চ ১০ থেকে ১৫ বছরের সাব জুনিয়র বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। এরপর প্রতিযোগিতায় ২ টি সোনার ও ১টি রুপোর পদক লাভ করি”। আগামীদিনে আরও প্রতিযোগিতায় নামার ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের আর্থিক প্রতিবন্ধকতা তাকে ভাবাচ্ছে।
এদিন প্রিয়ঞ্জনা জানায় যদি সরকারের পক্ষ থেকে বোয়ালিয়ায় নদীর উপর সেতু তৈরি করে দেওয়া হয় তাহলে তার মতন অনেকেই উপকৃত হবে। প্রিয়ঞ্জনার মা এই বিষয়ে জানান, “ছোট থেকেই আমাদের মেয়ের যোগাসনের প্রতি আকর্ষণ। আমরা কোনোদিন এতে বাধা দিইনি। ও সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতেই আজকে এই সাফল্য লাভ করেছে”।