কথাকাটি দিয়ে বচসার সূত্রপাত হলেও পরবর্তীকালে তা হাতাহাতিতে রূপান্তিরত হয়। মুহূর্তের মধ্যে সেই হাতাহাতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। মুহূর্তের মধ্যে সেই হাতাহাতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় রোগীর মেয়ে বন্দনা, ছেলেল রাকেশ ও বোন অর্পিতা হালদারকে। পরিবারের অভিযোগ, মাটিতে ফেলে মারতে মারতে বন্দনার শাড়ি অবধি খুলে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। হাসপাতাল চত্বরে সকলে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখতে থাকে। শেষমেশ এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানায় অন্যান্য রোগীর পরিজনরা। হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিস সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিক্ষোভরত রোগীর আত্মীয়দের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পালটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রোগী আত্মীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে।
রোগীর আত্মীয় এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের কাছে হাসপাতালে পাস থাক সত্ত্বেও ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। নিরাপত্তারক্ষীরা এই কাজ করেছে। আমার মাকেও হেনস্থা করে কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে আমি এর বিচার চাই।”
হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ পুরঞ্জয় সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “পুরুষ বিভাগে একজন ক্যানসার রোগী ভর্তি রয়েছেন। ভিজিটিং আওয়ার্সের বাইরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জোর করে ভিতরে ঢুকতে যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে তাঁদের মারধর করা হয়। এই ঘটনায় কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছে। আমি খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দিই। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”