পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আবগারি দফতরের দুর্গাপুর ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সনৎ হেমব্রমের বাড়ি বনপুকুরিয়া গ্রামে। বর্তমানে তিনি কর্মসূত্রে বাঁকুড়ায় থাকেন। লালগড়ের বনপুকুরিয়া গ্রামে সনতের আদি বাড়ি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে প্রথম হুমকি চিঠি আসে। ওই চিঠিতে মাওবাদীদের নাম নিয়ে হুমকি দিয়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
প্রথমে বাড়ি সদস্যরা এই হুমকি চিঠি হালকাভাবে নিয়েছিলেন। এরপর ২৩ মার্চ বনপুকুরিয়া গ্রামে সনতের বাড়ির দরজার সামনে ফের একটি হুমকি চিঠি পাওয়া যায়। পরের চিঠিতে মাওবাদীদের থেকে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এমনকী টাকা না দিলে সনতের পুরো পরিবারকে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
শনিবার ২৫ মার্চ লালগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সনতের দিদি সদরী হেমব্রম। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে রামগড় ফাঁড়ির পুলিশ। তদন্তে নেমে বিকাশ ও দুলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৮৭, ৫০৬, ৫০৭ ও ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
শুক্রবার ধৃতদের ঝাড়গ্রামের এসিজেএম আদালতে পেশ করা হয় সরকারি আইনজীবী পবিত্র রানা বলেন,” মাওবাদীদের নাম করে হুমকি চিঠি দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করলে তদন্তের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হলে বিচারক ২ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন”।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ঝাড়গ্রাম জেলায় মাওবাদীদের কোনও অস্তিত্ব নেই। মূলত তোলাবাজির জন্য মাওবাদীদের নাম ব্যবহার করা হয়েছিল। আসলে অভিযুক্তরা চিঠি দিয়ে ভয় দেখাতে চেয়েছিল। আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করার পর তাঁদের জেরা করে দেখা হচ্ছে যে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”