কেন তলব অর্ণব বসুকে?
প্রাথমিক তদন্তে ED-র তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ক্লার্ক অর্ণব বসু প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। তাঁর দেওয়া নির্দেশিকাই পালন করতেন অর্ণব। এমনটাই জানা গিয়েছে ED সূত্রে। তিনিই বিভিন্ন জায়গায় মেল করতেন, রেকমেন্ডেশন লেটার পাঠাতেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে চান, তিনি এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিক কী কী ভূমিকা পালন করতেন। কাদের মেল করেছেন, কোনওভাবে আর্থিক লেনদেন তাঁর মাধ্যমে হয়েছে কি না, জানতে চাইবেন ED অফিসাররা।
এদিকে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পালকে পরামর্শ দেন, মানিক ভট্টাচার্যর ফেলে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না। ২০১৪ র প্রাথমিক টেটের শংসাপত্র সংক্রান্ত একটি মামলায় শুক্রবার আদালতে হাজির ছিলেন গৌতম পাল। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীরা টেট শংসাপত্র পেয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে গৌতম পাল।
এদিকে, ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে কুন্তল ঘোষকে বৃহস্পতিবারই হাজির করানো হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে। কুন্তলের বিরুদ্ধে ED-র পেশ করা চার্জশিটের কপি এ দিন তাঁর আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। আদালতে দু’পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আগামী ২৭ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ততদিন জেল হেফাজতেই থাকতে হবে কুন্তল ঘোষকে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষকে আগেই বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আদালতে প্রবেশের আগে তিনি দাবি করেন, তাঁকে বলপূর্বক নেতাদের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কুন্তল বলেন, “বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের থেকে নেতাদের নাম বার করার চেষ্টা করছে এজেন্সি। কিন্তু, আমরা মা মাটি মানুষের আদর্শে বিশ্বাসী। আমরা এই ধরনের ভয়কে পাত্তা দিই না। বুক চওড়া করে চলি।”