BJP-কে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের
সাংবাদিক বৈঠকে এদিন রামনবমীর দিন মিছিল পালনের জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি চিঠি এবং পালটা পুলিশের গাইডলাইন নিয়ে একটি নির্দেশিকা দেখান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ভগবান রামচন্দ্র তো শক্তি-সংযম-ত্যাগের প্রতীক। তাঁর পুজোতে DJ বাজানো হচ্ছে কেন? কোমরে বন্দুর ঝুলিয়ে শোভাযাত্রা কেন করা হচ্ছে? এ কেমন রামনবমী পালিত হচ্ছে বাংলায়?”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “রামনবমীর নামে শোভাযাত্রাতে গুণ্ডামি করা হয়েছে। এলাকার সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলওয়ালার ঠেলায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। উগ্রভাবে DJ বাজানো হয়েছে। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসেছেন। কই সে সময় তো এমন হত না। ২০১৪ আর ২০১৬ সালেও রামনবমীর এমন শোভাযাত্রা হয়নি। রাজ্যটাকে এরা পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে ফেলেছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য রাজ্যের সৌহাদ্য ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।”
অভিষেকের কথায়, “ধর্মের নামে গুণ্ডামি-মস্তানি করলে তাকে কখনও ধর্মপ্রাণ বলা যায় না। এরা বাংলাটাকে জল্লাদের উল্লাস মঞ্চে পরিণত করেছে। আপনাদের হাত জোর করে অনুরোধ করছি কোনওরকম প্ররোচনায় পা দেবেন না। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনও সম্প্রদায়ের উৎসব পালন করার অধিকার রয়েছে কিন্তু, এই ভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কোনও ধর্ম পালন হয় না। বাংলায় দুর্গাপুজো, দীপাবলি, বড়দিনের উৎসবে এমনটা দেখেছেন?”
অমিত শাহকে আক্রমণ অভিষেকের
এরপরই নাম না করে অমিত শাহকে আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “ক্রোনোলজিটা বুঝুন। BJP-র নেতা দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। তারপর বাংলায় শ্যামবাজারের মোড় থেকে রামনবমী পালন নিয়ে বড় বড় কথা বললেন। আর তারপরই শোভাযাত্রার নামে হিংসা ছড়ানো হল। বোঝাই যাচ্ছে কার উসকানিতে বাংলায় এই নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে। যাদের উসকানিতে কিছু মানুষ এই কাজ করছেন তারা যে রাখুন অমিত শাহের ছেলে দুবাইতে বসে শেখের সঙ্গে আইপিএল ম্যাচ দেখে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের হিন্দুত্ব নয়। আমি স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বে বিশ্বাস করি, যোগী আদিত্যনাথের নয়। জয় শ্রীরাম বলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শ্রীরাম কখনও এই জিনিস শিখিয়েছেন? আর ক্রিমিনালদের কোনও জাত হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ অশান্তি ছড়ানো সবাইকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করবে।”