পুরসভার পরীক্ষাতে জালিয়াতি, ১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিল অয়ন


পিয়ালি মিত্র: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রমোটার অয়ন শীলের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এমনটাই উঠে এসেছে তদন্তে। পাশাপাশি তার বিপুল সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীররা। মোট ৮টি ফ্ল্য়াট, ৫টি গাড়ি, ১টি পেট্রোল পাম্প ও একটি হোটেলের মালিক অয়ন শীল। দুর্নীতির টাকাতেই ওই সম্পত্তি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মোট ১ হাজার জনের কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছেন অয়ন শীল। ২৬ কোটি টাকা এক এজেন্টকে দিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি ইডির। আদালতে পেশে করে আজ ওইসব দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।

আরও পড়ুন-বৃষ্টির জেরে আজও ভোগান্তি, হতে পারে শিলাবৃষ্টিও  

গত ১৩ দিন ইডি হেফাজতে ছিলেন অয়ন শীল। তাঁকে গ্রেফতার করার পরই বোঝা যায় পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছিল। অয়নকে জেরা করে বেশকিছু প্রভাবশালীদের নাম জানতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। কেস ডাইরিতে তার উল্লেখ থাকলেও সেইসব নাম প্রকাশ্যে অনেননি ইডি আধিকারিকরা। তদন্তাকারীরা আদালতে জানান, দুভাবে অয়ন শীল নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত। একটি হল প্রাইমাটি টেট। মিডল ম্যান হিসেবে প্রচুর চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে বিপুল টাকা তুলেছিলেন। দ্বিতীয়টি হল পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি। ওই দুই ক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন অয়ন। ওই দুর্নীতির টাকা দিয়ে কী কী সম্পত্তি করেছেন অয়ন তা আদালতে তুলে ধরে ইডি। 

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি অয়নের ৪০-৪২টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। তাতে ৮ কোটি টাকা নগদে ডিপোজিট করা হয়েছিল। এছাড়াও ইডির দাবি, এখনওপর্যন্ত অয়ন শীলের ৮টি ফ্ল্যাট, ৫টি গাড়ি, একটি হোটেল ও একটি পেট্রোল পাম্পও রয়েছে অয়নের। সবেমিলিয়ে তার সম্পত্তির মূল্য একশো কোটির কাছাকাছি। তদন্তকারীদের আরও দাবি, এসএসসি এক হাজার চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন। পুরসভায় নিয়োগের জন্য ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন। অয়ন শীলের সংস্থায় ওএমআর শিটে জালিয়াতি করত। 

অন্যদিকে, অয়ন শীলের আইনজীবী বলেন, অয়ন শীল মূলত একজন ব্যবসায়ী। ওর যে সংস্থা ছিল তার কাজই ছিল সিকেলকশন করা। ও বহুদিন ধরে ওই কাজ করছে. তার ফলে সেখান থেকে বেশকিছু টাকা ও তো আয় করেইছে। এরসঙ্গে এসএসসির কোনও সম্পর্ক নেই।

কীভাবে ওএমআর-এ কারসাজি? অয়ন শীলের সংস্থা এভিএস ইনফোজোন রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা থেকে পরীক্ষা পরিচালনা করার ভার পেয়েছিল। ওএমআর এর মূল্যায়নের দায়িত্বও ছিল অয়নের উপরে। ইডির আইনজীবী জানান, যোগ্য প্রার্থী বা যারা পরীক্ষায় ভালো করতেন সেখানে জালিয়াতি করা হতো। যোগ্যপ্রার্থীরা যেখানে একটি ফাঁক পূরণ করতেন সেখানে আরও একটি ফাঁক পূরণ করে দিত অয়নের সংস্থা। ফলে সেই উত্তর ভুল হয়ে যেত। ফলে তার নম্বর কমে যেত। আর এই সুয়োগে টাকা দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের সেই জায়গায় ঢুকিয়ে দেওয়া হতো।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *