বিভিন্ন জেলার সূত্র মারফত খবর, সব জায়গা থেকেই সাধারন মানুষের তরফ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকেও শিবির শুরু হয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে দুয়ারে সরকার শুরুর কথা জানান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
প্রশাসনের ১৬টি দফতরের উদ্যোগে ৩৩টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এই শিবিরে। এবার মূখ্য আকর্ষণ রয়েছে নতুন তিনটি প্রকল্প মেধাশ্রী, বাংলা কৃষি সেচ যোজনা ও ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প। বয়স্ক ব্যক্তিদের হাতের মুঠোয় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে মোবাইল শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
এই শিবিরের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্ক ব্যক্তিদের সরকারি সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। শিবিরে রয়েছে কমপ্লেন ও সাজেশন বক্স। সেই বাক্সে সাধারণ মানুষ তাদের অভিযোগ যেমন জমা করছেন, তেমনি তাদের মন্তব্য লিখে জমা দিচ্ছেন। এদিন তাম্রলিপ্ত পুরসভার দুয়ারে সরকার শিবিরে ঢুকেই প্রথমে অভিযোগ বাক্স খুলে দেখেন জেলাশাসক।
দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরেও এদিন শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি বুথেই এই ক্যাম্প করা হচ্ছে বলে জানালেন সোনারপুর BDO। গরমের কথা মাথা রেখেই এবার ক্যাম্পে থাকছে চিকিৎসা পরিষেবাও। এবার লক্ষ্মীভান্ডার করাতে গেলে আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড লাগবে না বলে জানানো হয়েছে।
এবারের দুয়ারে সরকারের প্রথম ভাগে ৫০৩৮ টি শিবির হবে হুগলি জেলায়। দ্বিতীয় ভাগে ১১ থেকে ২০শে এপ্রিল হবে পরিষেবা প্রদান। পান্ডুয়া ব্লকের সিমলাগড় ভিটামিন গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজিনা খাতুন বলেন, “মানুষের আরও কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার এবার বুথে বুথে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন সরকারি প্রকল্প যেন সব মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। সিমলাগড় ভিটাসিন পঞ্চায়েতে ১১ টি বুথে আজকে শিবির হচ্ছে। আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কাজে লাগানো হয়েছে।”
ক্যাম্প চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। যাদের এখনও স্বাস্থ্য সাথী অথবা লক্ষ্মীর ভান্ডার হয়নি, তারা এই শিবিরে আবেদন করছেন। বাড়ির কাছাকাছি দুয়ারে শিবির হওয়ায় সুবিধা হয়েছে তাদের।