ঠিক কী ভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, হাওড়া থেকে মেটিয়াবুরুজের দিকে যাচ্ছিল ওই মিনিবাসটি। পাশে যাওয়া একটি বাইকের সঙ্গে রেষারেষি করতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাসের চালক। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। মেয়ো রোডের উপর উলটে যায় যাত্রীবোঝাই ওই মিনিবাসটি। জানলার কাচ ভেঙে যাত্রীদের বের করা হয়। একের পর এক এক অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই একটি ক্রেন এনে মিনিবাসটিকে তোলার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনার জেরে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
ক্রেনের সাহায্যে তোলা হয় মিনিবাস
ক্রেনের সাহায্যে মিনিবাসটিকে সোজা করা হলেও সেটি ভেঙে চুড়ে গিয়েছে। সমস্ত যাত্রীকেই নিরাপদে বাস থেকে বের করে আনা হয়। যদিও বেশিরভাগই গুরুতর আহত হয়েছেন। অনেক যাত্রীই গুরুতর আহত হয়েছেন। রাস্তায় এবং বাসের মধ্যে চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। জানলার ভাঙা কাচ, যাত্রীদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী, জুতো-চটিও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে।
কিছুদিন আগে ঠিক একইভাবে ভিআইপি রোডের উপরে সবজির গাড়ির টায়ার ফেটে দুর্ঘটনা ঘটে। সবজি বোঝাই টাটা ৪০৭ গাড়ি উলটে যায় ভিআইপি রোডের ওপরে। রঘুনাথপুর মোড়ের এই দুর্ঘটনায় আহত গাড়ির চালক ও খালাসিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়ির ড্রাইভার খালাসি গাড়ির ভেতরে আটকে পড়েন। বাগুইআটি থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গাড়ির টায়ার ফেটে যাওয়ার কারণেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি। এমনিতেই গাড়িটি যথেষ্ট গতিতে ছিল। সে কারণেই রাস্তার উপর উলটে যায় গাড়িটি। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। গোটা ঘটনায় এলাকায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের মধ্যস্থতায় ফের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।