এদিকে, রানিগঞ্জ, রাজারহাট ও মঙ্গলপুরে NIA তল্লাশিও শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক আর ২৭ হাজার কেজি অ্য়ামোনিয়াম নাইট্রেট। গত বছর দুলাই মাসে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এরপরই এই ঘটনার তদন্তভার NIA-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার ধৃত দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে তাদের তিন দিনের NIA হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সল্টলেকের অফিসে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে তাদের। কী ভাবে এবং কোন উদ্দেশ্যে বাংলায় এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পবাচারের সঙ্গে তারা যুক্ত ছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন NIA আধিকারিকরা।
এক NIA আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছর যে বিস্ফোরকগুলি উদ্ধার হয়েছিল সেগুলি এমন কোথাও বা কারও মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল যাদের কোনওরকম লাইসেন্স নেই। এই দুই ধৃতও সেই পাচারের কাজের সঙ্গেই জড়িত ছিল বলে অনুমান। খনিতে ব্যবহার করার জন্য যে ধরণের বিস্ফোরকের প্রয়োজন হয়, সেগুলি সরবরাহ করার জন্য মিরাজুদ্দিনের পরিবারের লাইসেন্স রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
এ প্রসঙ্গে, ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “এই ঘটনাই প্রমাণ করে বাংলা অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া হয়ে উঠেছে। পালটা জবাব দিয়েছে শাসকদলও। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এই ধরণের বিস্ফোরক সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ইস্যু করে কেন্দ্রই। সব কিছু জন্য এবং যে কোনও ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে দায়ী করা বন্ধ করুক BJP।'”