এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের QR কোড পোস্টারের শুভ উদ্বোধন করেন নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মুক্তিরানী মাইতি। আজ থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ QR কোড পোস্টার লাগানো হয়েছে যাতে অতি সহজে মাছ চাষীরা যুক্ত হতে পারেন। এলাকায় আপামর সকল মৎস্যজীবীদের এই অভিনব ডিজিটাল সংযুক্তিতে বেশ উৎসাহ দেখা দিয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?
মৎস্য দফতরের এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, “আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ, সেবা দ্রুত ও কার্যকর ভাবে পৌঁছনো, মৎস্য চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, মৎস্যচাষীদের একজন আরেকজনের সহযোগিতা করা, একজন নতুন সদস্য উদ্যোক্তা তৈরি করা এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।”
এই বিষয়ে নন্দীগ্রাম ১ ব্লক মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, “মৎস্য সম্প্রসারনের উদ্দেশ্যে যেমন প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জে বৈঠক করছি, তেমনি মৎস্য দফতরের বার্তা নির্দেশিকা সহ প্রতিনিয়ত উদ্ভাবিত নতুন নতুন প্রযুক্তি মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবি ও নব মৎস্য উদ্যোক্তাদের নিকট আরও সহজে ও দ্রুত পৌছে দিতে এই ‘মৎস্য বিভাগ- নন্দীগ্রাম ১’ নামক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এবং মৎস্য দফতরের কার্যালয় সহ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ক্যাম্পে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ QR কোড পোষ্টার লাগানো হয়েছে।”
এই বিষয়ে স্থানীয় এক মৎস্যজীবী বলেন, “এই উদ্যোগের বিষয়ে শুনলাম। ভালো উদ্যোগ। কিন্তু আমরা পুরনো দিনের মানুষ, মাছ ধরে জীবনযাপন করি। নতুন যুগের স্মার্টফোন হোয়াটসঅ্যাপ বা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এসবে অতটা স্বচ্ছন্দ নই। তবু চেষ্টা করব সরকারের এই নতুন প্রয়াসটি একটু ভালো করে জানার। বাড়িতে ছেলে মেয়ে দের স্মার্টফোন আছে। সেখান থেকেই গ্রুপে গিয়ে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করব।”