স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়িতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও যুব তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষকে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। তিহাড় জেলে বাবার উপর ‘মানসিক নির্যাতন’ হচ্ছে শুনে তৃণমূল নেতাদের সামনে কার্যত ভেঙে পড়েন সুকন্যা। তাঁর বাবাকে ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে বলে বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতাদের সামনে চিৎকার করে সুকন্যা বলতে থাকেন, “আমরা বাবার খবর এখন আর কেউ নেয় না। সবাই সরে গিয়েছে।” এমনকী বিপদের সময় সবাই ‘মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে’ বলেও চিৎকার করে বলতে থাকেন সুকন্যা।
সুকন্যার এহেন ‘তিরিক্ষি মেজাজ’ দেখে প্রাথমিকভাবে খানিক হকচকিয়ে যান সেখানে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা। খানিক সামাল দিয়ে সুকন্যাকে তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করেন যে “এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।” তাঁরা সকলেই এই বিপদের সময় অনুব্রত মণ্ডলের পাশে রয়েছেন, তাও বোঝানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুব্রতর এক প্রতিবেশীর দাবি, “রাত সাড়ে ন’টা- পৌনে দশটা নাগাদ একাধিক তৃণমূল নেতা গাড়ি নিয়ে সেখানে এসেছিলেন। অনুব্রতর পরিবারের সদস্যরাও সেখানে ছিলেন। মেয়ে খুব চিৎকার চেঁচামেচি করছিল বলে শুনেছি। তাঁর বাবার খবর কেউ নেয় না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন সুকন্যা।”
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর জেলা সংগঠনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বীরভূমের জেলা তৃণমূল নেতাদের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠতে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পরও জেলা সভাপতি পদ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে সরানো হয়নি। বরং খানিক নরম সুরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।