প্রদ্যুৎ দাস: আশা কর্মীদের পঞ্চায়েত ও বিধানসভা নির্বাচনে কাজে লাগানো হলেও তাদের সঠিক প্রাপ্য দেওয়া হয়নি! এমনই অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের সদস্যরা। জলপাইগুড়ি সদর ব্লক তৃতীয় সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সম্মেলনে এসে এই অভিযোগ করেন তারা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা দপ্তরে। রানু চৌধুরি ও শাহনাজ সরকার মঞ্চে আয়োজিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক আশা কর্মী। পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সূচনা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের নেত্রী সরস্বতী বিশ্বাস। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিআইটিইউ নেতা পীযুষ মিশ্র।
তিনি আশা কর্মীদের সার্বিক সমস্যা ও আশা স্বাস্থ্য কর্মীদের আন্দোলনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আশা কর্মীরা তাদের মর্যাদা আদায় করতে পেরেছে। কিন্তু এখনও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার আশা স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজ করিয়ে তাদের ন্যূনতম মজুরি দিচ্ছে না। তীব্র বঞ্চনা শিকার আশা কর্মীরা।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: ছুটির রবিবারেও ভাসবে কলকাতা, সোমবারেই ফের বদলের সম্ভাবনা আবহাওয়ায়
তিনি আরও বলেন, যে মজুরি দেওয়া হচ্ছে তাতে আজকের দিনের স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব নয়। এর জন্য ন্যূনতম মজুরি হিসেবে ২৬ হাজার টাকা মজুরির দাবি করেন তিনি। বলেন, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের আশা কর্মীরাই প্রথম বোনাসের জন্য লড়াই আন্দোলন করেছিল। সরকার সেই দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। ফলে আশা কর্মীরা এখন বোনাস পাচ্ছেন। এই প্রাপ্তি আশা কর্মীদের আন্দোলনের ফল।
আরও পড়ুন: Birbhum: অনুব্রত-হীন বোলপুরে ১২ বছর পর সভা সিপিএমের, দল ছাড়লেন একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী
সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদিকা চুমকি দাস। তিনি বলেন, আশা স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য বহির্ভূত বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি পঞ্চায়েত ও বিধানসভা নির্বাচনের কাজও করানো হচ্ছে তাদেরকে দিয়ে। কিন্তু ন্যায্য প্রাপ্য দেওয়া হচ্ছে না তাঁদেরকে।
এর পাশাপাশি এদিন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সভানেত্রী নীহার বেগম, সিআইটিইউ নেতা কৃষ্ণ সেন, শুভাশিস সরকার, অমিত দাস প্রমুখ। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ৩০ জনের কমিটি গঠন করা হয়। সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন সরস্বতী বিশ্বাস, হৈমন্তী রায় ও ভগবতী রায়।