Dilip Ghosh on Raju Jha: ‘কয়লা কেলেঙ্কারি ঢাকতে মুখ বন্ধ করা হল!’ রাজু ঝাঁ হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ – dilip ghosh comments on raju jha and durgapur shootout


Raju Jha Durgapur Shootout: ফের রাজ্যেই ভরসন্ধেয় শ্যুটআউট। কলকাতায় আসার পথে গুলিতে ঝাঁঝরা অবৈধ কয়লা কারবারে অভিযুক্ত রাজু ঝাঁ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ব্যবসায়ীর। বিজেপির সদস্য এই কয়লা ব্যবসায়ীর শ্যুটআউট ঘিরে ব্যাপক শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। রবিবার সকালে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে এসে এই ঘটনায় শাসকদলকেই বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি নেতা বলেন, ”রাজু ঝাঁ নির্বাচনের আগে আমাদের পার্টিতে যোগদান করেছিল এখন সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বোম বন্দুকের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কারও জীবনে কোনও সুরক্ষা নেই। সে একজন বড় ব্যবসায়ী বটে, যেভাবে হাইওয়ের উপরে তাকে খুন করা হয়েছে পশ্চিমবাংলার আইন শৃঙ্খলা কোথায় যাচ্ছে সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে গিয়েছে। আমরা সরকারে না এলে তা বাকিদের ক্ষেত্রেও চিন্তার বিষয় হবে।”

Raju Jha : শক্তিগড়ে ‘ফিল্মি কায়দায়’ শ্যুটআউট, পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা দুর্গাপুরের রাজু

শ্যুটআউটে নীলবাতি

শ্যুটআউটের পর তদন্তে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, আততায়ীরা নীল বাতির গাড়ি করে এসে গুলি চালায়। এই বিষয়ে ঝাঁঝালো আক্রমণ দিলীপ ঘোষের। তাঁর অভিযোগ,”এত ধরনের গুন্ডা, মাফিয়া পশ্চিমবাংলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যত রকমের অপরাধ। সেই অপরাধের পিছনে বড় বড় টাকার লেনদেনের ব্যাপার আছে। গোরু পাচার, বালি পাচার, পাথর পাচার থেকে শুরু করে সরকারি দফতরে যে ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, তাতে অনেক বড় বড় টাকার লেনদেন হয়েছে। বহু লোকের এর সঙ্গে যুক্ত, এর ফলে সমাজে অপরাধীকরণ হয়েছে। তার পরিণাম দেখতে পাচ্ছি, না হলে নীল বাতি গাড়ি কী করে পায় অপরাধীরা? বড় বড় অপরাধীদের এর সঙ্গে যুক্ত এটাও জানা যাচ্ছে। এ নিয়ে তদন্ত করা দরকার আছে। এতে যে তদন্তগুলো চলছে তা বাকি বড় বড় কেসগুলির সঙ্গে কোথাও না কোথাও যুক্ত আছে।”

বিজেপি যোগ

তবে রাজু ঝাঁয়ের মতো অবৈধ কয়লা ব্যবসায়ীর বিজেপি যোগ নিয়ে সরব হয়েছেন শাসক দল। আক্রমণ শানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ২০২০ সালে সিআইডি কয়লা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করার পরও দিলীপ ঘোষের হাত ধরে মৃত ব্যবসায়ী বিজেপিতে যোগদান করেন। সেই বিষয়টি নিয়েই আক্রমণের জবাবে সপাট উত্তর দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, ”সুর যে কেউ চড়াতে পারে। বিজেপির আগে কার সঙ্গে ছিল? যে পার্টির মন্ত্রী,এমএলএ, এমপিরা জেলে আছে, পুরো সমাজের দুর্নীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। আর আসানসোল এলাকায় কে কাকে সার্টিফিকেট দেবে! ওখানকার মন্ত্রী সম্বন্ধে কয়লা মাফিয়ার অভিযোগ আছে। সুর চড়ানো আলাদা কথা অপরাধী হতে পারে কেউ যতক্ষণ না অপরাধ প্রমাণ হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা অপরাধী বলতে পারি না। যাকে ধরবেন আসানসোলে কয়লা মাফিয়া, অমুক মাফিয়া। সেটা প্রশ্ন নয়, জাজমেন্ট দেওয়ার অধিকার আমাদের নেই। একটা মানুষকে নৃশংসভাবে হাইওয়ের উপরে খুন করা হল সমাজের কাছে কী বার্তা যাবে সেই জন্যে সরকারের দায়িত্ব দোষীদের গ্রেফতার করে সত্য সামনে নিয়ে আসা।”

ইডির তলব

রাজু ঝাঁয়ের মৃত্যুর পর সামনে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলতি মাসের ৩ তারিখ রাজু ঝাঁকে ইডি দিল্লিতে তলব করেছিল। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”অনেকে হয়ত ভাবছে, রাজু ঝাঁকে জেরা করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসত। তাতে হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাত অনেক উপর অবধি পৌঁছে যেত। নিয়োগ দুর্নীতিতে যেমন অন্যান্য নেতাদের ধরেছে সেখান থেকে অনেক রকম তথ্য আসছে, এক্ষেত্রেও তাই হত। সন্দেহ হচ্ছে কিছু বেরিয়ে আসত সেই আশঙ্কাতেই সেই জন্য হয়তো তার মুখ বন্ধ করা হল। বড় চক্রান্তের অংশ হবে এটা।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *