এই সময়, কৃষ্ণনগর: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের রান্না করা খাবারের মধ্যে মিলল সাপ! নদিয়ার চাপড়া থানার আলফা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোমপুকুর গ্রামে শনিবার এই ঘটনায় হই চই পড়ে যায়। একদল অভিভাবক ওই খাবার হাতে কেন্দ্রের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান। কেঁচোর মতো দেখতে প্রাণীটি পুঁইয়ে সাপ বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। চাপড়া ব্লকের সিডিপিও বিপ্লব দাস বলেন, ‘কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি না থাকায় কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে এ অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হবে।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’ ডোমপুকুর গ্রামের পূর্ব দক্ষিণপাড়া ৬০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলে একজনের খোলা উঠোনে, চারটি বাঁশের খুঁটির উপরে পলিথিন টাঙিয়ে। পাশে আবার রয়েছে একটি শৌচাগার। এক অভিভাবক বলেন, ‘আমরা সব মায়েরা প্রতিদিনই কেন্দ্র থেকে রান্না করা খাবার বাড়িতে নিয়ে চলে আসি। বাড়ির বাচ্চাকে ওই খাবার কিছুটা ঢেলে খেতেও দিয়েছিলাম।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’ ডোমপুকুর গ্রামের পূর্ব দক্ষিণপাড়া ৬০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলে একজনের খোলা উঠোনে, চারটি বাঁশের খুঁটির উপরে পলিথিন টাঙিয়ে। পাশে আবার রয়েছে একটি শৌচাগার। এক অভিভাবক বলেন, ‘আমরা সব মায়েরা প্রতিদিনই কেন্দ্র থেকে রান্না করা খাবার বাড়িতে নিয়ে চলে আসি। বাড়ির বাচ্চাকে ওই খাবার কিছুটা ঢেলে খেতেও দিয়েছিলাম।
ঢালতে গিয়ে দেখি, খাবারের মধ্যে সাপ রয়েছে। মরা সাপটা গিলে ফেললে কী হতো?’ এই কেন্দ্রের সহায়িকা শাহানারা খাতুন বলেন, ‘একদম শেষে যে বধূ খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন তিনিই এই অভিযোগ করেছেন। কেঁচো জাতীয় কিছু খাবারে রয়েছে বলে তিনি আমাকে দেখিয়ে যান। সাপ কেন, সামান্য নোংরা চোখে পড়লে তা নিশ্চয় কোনও বাচ্চা বা তাঁদের মাকে দিতাম না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব জমি-বাড়ি নেই এটা ঠিক। পাঁচ বছর এই কেন্দ্রে আছি। আগে এরকম কোনও অভিযোগ আসেনি।’ ব্লকের সিডিপিও বলেন, ‘আমাদের ব্লকে মোট ৪১৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় অর্ধেক জায়গায় নিজস্ব বাড়ি নেই।’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজাবর মণ্ডল বলেন, ‘আমরাও চেষ্টা করেছি যাতে কেন্দ্রের জন্য নিজস্ব একটা জমি খুঁজে দেওয়া যায়।’