Green Crackers : গ্রিন শব্দবাজিতে লেখা থাকবে, ‘নট ফর সেল ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল’ – not for sale in west bengal will be written on green crackers


সুরবেক বিশ্বাস ও সুপ্রকাশ মণ্ডল
বিভিন্ন মদের বোতলের গায়ে লেবেলে লেখা থাকে বিশেষ নির্দেশিকা। কোনওটার গায়ে লেখা, ‘নট ফর সেল ইন মধ্যপ্রদেশ’, কোনওটার গায়ে ‘নট ফর সেল ইন গোয়া’ আবার কোনওটায় লেখা, ‘ফর সেল ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল ওনলি’। স্থানভেদে আবগারি শুল্কের তারতম্যের জন্যই এই ব্যবস্থা। সেই ধাঁচে এ বার ভিন রাজ্যে, মূলত তামিলনাড়ুর শিবকাশীতে তৈরি হওয়া গ্রিন শব্দবাজির গায়ে নিরি (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-র তরফে ‘নট ফর সেল ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল’ লিখে দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মাস তিনেক আগে পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির তরফে নিরি-র কাছে এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, নিরি ওই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এই বছরের উৎসবের মরশুম থেকেই সেটা কার্যকর হতে পারে। গ্রিন ক্র্যাকার অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব বাজির প্যাকেটের গায়ে থাকে নিরি-র ছাপ বা হলোগ্রাম এবং নিরি-র কিউআর কোড।

Covid Vaccine : কেন্দ্র থেকে ফের ৫.৭৫ লক্ষ ডোজ় টিকা চাইবে রাজ্য
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গোটা দেশে কেবল সবুজ বাজিই পুড়বে, অন্য সব বাজি নিষিদ্ধ। গ্রিন ক্র্যাকার বা সবুজ বাজি পুড়লে প্রথাগত বাজির তুলনায় বায়ু দূষণ অনেকটাই কম হয়— এখানে বাজি থেকে উৎপন্ন শব্দের বিষয়টি তেমন মাথায় রাখা হয়নি। বহু গ্রিন ক্র্যাকার পোড়ালেই শব্দ হয়।

সেটা অবশ্য ১২০ ডেসিবেলের মধ্যে। ওটাই দেশের প্রায় সর্বত্র বাজির শব্দসীমা। তবে পশ্চিমবঙ্গে শব্দবাজি নিষিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গে বাজির শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল। ওই শব্দমাত্রায় কেবল খেলনা পিস্তলে ফাটানোর ক্যাপ ছাড়া অন্য শব্দবাজি তৈরি করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে গ্রিনবাজিকে শব্দবাজি হওয়াও চলবে না। অর্থাৎ, গ্রিন কিন্তু শব্দবাজি, এমনটা এই রাজ্যে আইনত নিষিদ্ধই।

রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও শুক্রবার বলেন, “সবুজ বাজিরও শব্দসীমা রাজ্যে ৯০ ডেসিবলের মধ্যে রাখতে হবে।”

DA Protest News : ‘হাজার কোটির দুর্নীতি, প্রয়োজনে হাইকোর্টে!’ বিস্ফোরক অভিযোগ DA আন্দোনকারীদের
গত বছর শিবকাশী থেকে বিপুল পরিমাণ সবুজ বাজি এই রাজ্যে ঢুকেছিল এবং সেগুলো পোড়ানোর সময়ে আলো ছড়ানোর পাশাপাশি বিকট শব্দেও ফেটেছিল। অথচ গ্রিন ক্র্যাকার বলে সেগুলোর বিক্রি এবং ব্যবহার আটকানো যায়নি। তা ছাড়া, চকলেট বোমা, দোদমা, চেন ক্র্যাকারের মতো নিখাদ শব্দবাজিও অতিষ্ঠ করেছে সাধারণ মানুষকে।

পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না বলেন, “অন্তত ভিন রাজ্যে তৈরি হওয়া গ্রিন শব্দবাজিকে অর্থাৎ যে সব সবুজ বাজির শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেলের বেশি, সেগুলোকে এই রাজ্যে ঢুকতে না-দেওয়া আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি। সেই জন্যই নিরি-কে ওই প্রস্তাব। নীতিগত ভাবে নিরি ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।”

নিরি-র কাছ থেকে রাজ্যের ১৯ জন বাজি প্রস্তুতকারক ইতিমধ্যেই সবুজ বাজি তৈরির অনুমতি পেয়েছেন। আরও ২৪ জন বাজি প্রস্তুতকারক ওই অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায়। এই ৪৩ জনের অধিকাংশই দক্ষিণ ২৪ পরগনার, বাকিরা হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার।

Garia To Ruby Metro : রুবি থেকে এক টিকিটেই টালিগঞ্জ-দক্ষিণেশ্বর, কবে শুরু মেট্রো? ভাড়াই বা কত?
২৪ জনের বাজি সড়কপথে গিয়েছে নাগপুরে, নিরি-র ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য। তবে এ বার কলকাতা বা তার লাগোয়া এলাকাতেই এমন পরীক্ষাগার তৈরি হচ্ছে বলে পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “এই ব্যাপারে নিরি-র সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। এ বছর উৎসবের মরশুমের আগেই যাতে নিরি-র ওই পরীক্ষাগার কাজ শুরু করতে পারে, তার চেষ্টা চলছে।”

মনে রাখুন: ছাড় কেবল সবুজ বাজিতেই।
● সবুজ বাজিতে বেরিয়াম-সহ ক্ষতিকারক বহু রাসায়নিক থাকে না।
● এমিশান অর্থাৎ গ্যাস বা ধোঁয়া বেরোয় প্রথাগত বাজির তুলনায় ৩০% কম।
● পশ্চিমবঙ্গ বাদে দেশের প্রায় সর্বত্র বাজির শব্দসীমা ১২০ ডেসিবেল।
● পশ্চিমবঙ্গে বাজির শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল অর্থাৎ এখানে শব্দবাজি নিষিদ্ধ।
● সুতরাং, পশ্চিমবঙ্গে গ্রিনবাজিকে শব্দহীনও হতে হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *