গত রবিবার রাতে পাণ্ডবেশ্বরের সোনপুর বাজারি এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এক তৃণমূল নেতা কিছু মানুষকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে বলে জানা যায়। অভিযোগ এলাকার মানুষদের হুমকি দেন তিনি। তারপর সব মানুষ একত্রিত হয়ে দেন গনধোলাই।
এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। সেই মারের ভিডিয়ো আবার ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমাজ মাধ্যমে ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে খনি অঞ্চল জুড়ে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের যুবনেতার হাতে বন্দুক ও মারের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বিড়ম্বনাতে পড়েছে শাসকদল।
সোমবার সকালে বাউড়ি পাড়ার বাসিন্দারা পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনপুর বাজারি এলাকায় পুরনো একটা বিবাদ মেটাবার জন্য স্থানীয় বাউড়ি পাড়ার কয়েকজন যান তৃণমূল নেতা শুভজিৎ মন্ডলের কাছে।
অভিযোগ, সেখানে বচসা শুরু হলে তৃণমূলের যুব নেতা বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তাঁদের। আর এতেই বাড়ে অশান্তি। স্থানীয়রা তৃণমূল নেতাকে ধরে সেই সময় গনধোলাই দেয়, তার হাত থেকে ছিনিয়ে নেন বন্দুক। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ।
তারাই পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, এমনটাই দাবি করেছে শাসকদল। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর ফরিদপুর তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জি অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেন, “তৃণমূলের আমলে পাণ্ডবেশ্বর এলাকা শান্তিতে আছে। আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।”
যদিও তিনি এরপর বলেন, “ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে যদি সত্য প্রমাণ হয় যে কোনও তৃণমূল নেতা হাতে বন্দুক নিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়েছেন, তাহলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
যদিও বাউরি পাড়ার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এই সব ঘটনা সত্য। আমি ওখানে উপস্থিত ছিলাম। আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য যেতেই উনি আমাদের বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেন। ব্যস তারপরই ওখানে উপস্থিত মানুষদের মেজাজ চরমে ওঠে, আর ওই নেতাকে মার দেওয়া শুরু হয়। আমরা পুলিশেও আজ অভিযোগ জানিয়েছি।”