এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ শ্রীরামপুরের সাংসদকেও প্রবল আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ”কল্যাণ বাবুর যে কথাবার্তা সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই কথাবার্তা। একদিকে তোষণ, ভোটব্যাঙ্ককে ঠিক রাখা, আর অন্যদিকে সনাতনীদেরকে আক্রমণ করা। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের রাজ্যের সনাতনী ধর্মীয় উৎসবগুলোকে শাস্ত্র মতে ধর্ম মতে উৎসব বলে স্বীকার করে না। বলে এগুলো কালচারাল প্রোগ্রাম। আর আমরা স্বাস্থ্য পঞ্জিকা মতে 5 হাজার বছরের পুরনো কালচার সেই কালচার মেনে আমরা চলি। স্বামী বিবেকানন্দের যে আদর্শ নিজে ধর্মের প্রতি আস্থাশীল, অপর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই নীতিতে বিশ্বাস করি। কোন রামনবমীর শোভাযাত্রায় অন্য ধর্ম আঘাত পাবে, এমন কোনও স্লোগান ছিল না। সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকাও ছিল না। তারপরেও যেভাবে শিবপুর এবং রিষড়ায় ঘটানো হয়েছে ডালখোলা এবং আমতলাতে আমরা দেখেছি বলার কোনও ভাষা নেই।”
অন্যদিকে, গতকালকের পর আর আজ আবার রিষড়ার বাগখালে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক যুবক জোরে বাইক চালিয়ে গেলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে। উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গোটা এলাকায় পুলিশি টহল চলছে ।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে শ্রীরামপুর থেকে মাহেশ হয়ে রিষড়া যাওয়ার পথে জিটি রোডে নাকা করা হয়েছে । গঙ্গায় যাওয়ার রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ। প্রতিটি গাড়ি, বাইক নাকা চেকিং করে তবেই রিষড়ার দিকে পাঠানো হচ্ছে।ব্যাগ,গাড়ির ডিকি সহ সব কিছুই চেক করা হচ্ছে। যাতে আর নতুন করে কোন রকম কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে।গতকাল রাত দশটা থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে এই এলাকায়।১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে রিষড়া ও মাহেশ এলাকায়।আজ সকালে রিষড়া থানার পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হয়।রিষড়াবাসীদের অকারণে বাড়ির বাইরে না আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।।