অর্নবাংশু নিয়োগী: রাম নবমীতে হাওড়ায় অশান্তির পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ এল হাইকোর্ট থেকে। হনুমান জয়ন্তী পালানের জন্য রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে ২০০০ আবেদন এসেছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্চের ডিবিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিক কেন্দ্র। রাজ্য হনুমান জয়ন্তী নির্বিঘ্নে পালনের জন্য কত বাহিনীর প্রয়োজন হবে তা কেন্দ্রকে জানাবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-সামনেই হনুমান জয়ন্তী, ফের অশান্তির পরিকল্পনা! কী বললেন শশী পাঁজা
আদালত জানিয়েছে কেন্দ্রের কাছ থেকে বাহিনী চাওয়ার অর্থ এই নয় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যকে শুধু সাহায্য করবে। কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে, কোথায় কোথায় ড্রোন ওড়ানো হবে তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার। মিছিলে কত সংখ্যক মানুষ থাকাবে, তারা কতদূর যাবে তা রাজ্য সরকার ঠিক করবে। যেসব জায়গায় উত্তেজনা রয়েছে সেখানে রুটমার্চ করবে পুলিস। তারপর সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। হনুমানজয়ন্তী নিয়ে কোন রাজনৈতিক নেতা কোথাও কোন বক্তব্য পেশ করবেন না।
হাওড়া কাজিপাড়ার ঘটনার পরই তার রেষ ছড়িয়ে পড়ে হুগলির রিষড়ায়। ফলে বিষয়টি যে খুব সংক্রমক তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সেসব কথা মাথায় রেখে আজ আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয় মিছিল বা শোভাযাত্রা যদি প্রশাসনের কোন শর্ত উলঙ্ঘন করে তাহলে তার দায় সেই প্রতিষ্ঠান এবং তার আধিকারিকদের ওপর বর্তাবে। কতজন শোভাযাত্রায় থাকবেন তা আগে থেকে পুলিসকে জানাতে হবে। শোভাযাত্রা শুরু এবং শেষ নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে। ২০০০ আবেদন জমা পড়েছে। পুরো রুটে ব্যারিকেড করা এই মুহূর্তে করা সম্ভব নয়। তবে স্পর্শকাতর এলাকায় ব্যারিকেড করা হবে। দূরত্ব ঠিক করবে পুলিস। স্বেচ্ছাসেবকদের নাম এবং ফোন নম্বর দিতে হবে। একই এলাকার ক্ষেত্রে একই রুটে শোভাযাত্রা করলে সুবিধা হয়। স্পর্শকাতর এলাকায় সিসিটিভি বসানো হবে।
ওইসব বক্তব্য শুনে বিচারপতি বলেন, যে ধরনের সমস্যার কথা বলা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে যে রাজ্য পুলিস একাহাতে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।
পাশের রাজ্য থেকে আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। মানুষের মনে কি করে ভরসা জোগানো যাবে? ছাদ থেকে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ কি করছিল ? রুট মার্চ করতে হবে।