গত রবিবার সকালে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন মহিলা মাথায় কলস নিয়ে এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে হনুমান জয়ন্তী উৎসবের শুভ সূচনা করেন। রবিবার সকালে দক্ষিণ বালুচর মহাবীর মন্দির থেকে এই কলেজযাত্রা বের হয়ে পোস্ট অফিস মোড়, বিএস রোড, ৪২০ মোর, ফুলবাড়ি, এন এস রোড হয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে শেষ হয়।
মন্দিরের সেবাইত প্রভুজি মিশ্র এই বিষয়ে জানান, “হনুমান জয়ন্তীর শুভ সূচনা এই কলস যাত্রার মাধ্যমে রবিবার সকালে শুরু হয়। এখানে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত হনুমান জয়ন্তী উৎসব চলবে। ৩ তারিখ অভিষেক হয়। ৪ তারিখ হনুমান চালিশা ও আরতি হয়। ৫ তারিখ অখন্ড রামায়ন পাঠ। আর ৬ তারিখ মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বাবার প্রসাদ বিতরণ হয়ে শেষ হবে।”
এবারে ১০১ কেজির লাড্ডু পাঁচজন ভক্ত মিলে নিবেদন করেছেন ও ৫৬ ভোগ দুজন দিয়েছে। ১৩০ জনের উপরে সুয়ামনি ভেট দিয়েছেন। গত বছর প্রায় ৫০০০ ভক্ত প্রসাদ গ্রহণ করেছিলেন। এবারে আশা করা যাচ্ছে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার ভক্ত প্রসাদ গ্রহণ করবেন, একথা জানিয়েছেন প্রভুজি মিশ্র।
প্রতিবারই হনুমান জয়ন্তী উৎসব খুব ধুমধাম ভাবে পালন করা হয় এই মন্দিরে। এইবারও তা হচ্ছে। হনুমান জয়ন্তী উৎসবে মালদা জেলা তথা প্রতিবেশী জেলাগুলি থেকে এমনকি বিহার, ঝাড়খন্ড থেকেও ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন ও পুজো দেন। হনুমানজিকে দর্শন করে পূজো দিয়ে থাকেন সবাই।
প্রায় ২২ বছর ধরে এই হনুমান জয়ন্তী উৎসব এই মন্দির পালন করছে জানিয়েছেন তিনি। মহাবীর মন্দিরের এই হনুমান জয়ন্তী পালন উপলক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের বেশ কড়া নজরদারি রয়েছে। এই উৎসব ঘিরে যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয়, সেদিন সজাগ দৃষ্টি রেখেছে জেলা প্রশাসন।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া রামনবমী উৎসবকে ঘিরে যেভাবে হিংসা দানা বেঁধেছে দক্ষিনবঙ্গের দুই জেলায়, সেই কারনেই পুলিশের এই কড়া ব্যবস্থা বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।