১ এপ্রিল থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে ষষ্ঠ দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি হয়েছে। এদিন দুয়ারে সরকারের সেই ক্যাম্প পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেখানে স্থানীয় এক বাসিন্দা বিধায়কের দিকে আঙুল উঁচিয়ে ‘চোর’ বলেন। স্বভাবতই এই আকস্মিক ঘটনায় খানিক হকচকিয়ে যান তৃণমূল বিধায়ক। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই তৃণমূল বিধায়ক।
ওই বাসিন্দার অভিযোগ, বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আবেদনের জন্য তিনি এসেছিলেন দুয়ারে সরকার শিবিরে। কিন্তু সেখানে এসে তাকে ঘুরে যেতে হয়েছে। ওই বাসিন্দার দাবি, সেখানকার সরকারি আধিকারিকরা বলেন যে এখন আবেদন করা যাবে না।
দুয়ারে সরকার শিবির থেকে ফিরে যাওয়ার পথেই বিধায়কের মুখোমুখি হন ওই ব্যক্তি। তখনই নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে গিয়ে তাঁকে চোর বলেন ওই ব্যক্তি। এমনকী বিধায়কের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ করেছেন তিনি। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকাংশের দাবি, বিধায়ক ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের মধ্যে গোষ্ঠীবিবাদ রয়েছে। সেই কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা যাবতীয় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দার ক্ষোভের মুখে মেজাজ হারান তৃণমূল বিধায়ক। ওই বৃদ্ধকে নিশানা করে তিনি বলেন, “আমি সেরম পরিবারের ছেলে নই। আপনি না জেনে বুঝে আমার নামে অভিযোগ করছেন। আমার পরিবার মানুষের মধ্যে দানধ্যান করে। আমি এখনও আপনার সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলছি।”
এই প্রসঙ্গে ওই বৃদ্ধ বলেন, “আমি বিধায়ককে জানিয়েছি, প্রধানের থেকে সার্টিফিকেট এনেও কোনও কাজ হয়নি। আমি বার্ধক্য ভাতার আবেদন করেও তা পাইনি। সেই ক্ষোভের কথা বিধায়ককে জানিয়েছি।”
পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “না জেনে বুঝে তিনি ওই কথা বলেছিলেন। পরে উনি ভুল বুঝতে পেরেছেন। ওনাকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। কারা ওনাকে এই ধরনের ভুল বোঝালো জানি না। শেখানো বুলি বলছিলেন, বিরোধীদের কোনও ভূমিকা আছে কিনা বলতে পারব না।”