পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। এই ঘটনার তিনদিন আগেই তাঁর বউদি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত মহিলার নাম নিষ্কৃতি দেবনাথ বলে পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। একইভাবে দেওরেরও আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনদিন আগে ওই যুবকের বউদি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মঙ্গলবার মৃত বউদির দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে কলকাতা থেকে ফিরেছিল চন্দন। ফিরে আসার পর ঝুলন্ত অবস্থায় নিমগাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর বউদির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই বউদির আত্মহত্যার পর সেও একইভাবে নিজেকে শেষ করার পথ বেছে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছেন নবদ্বীপ থানার পুলিশ।
ঘটনার কথা সকালবেলা চাউর হতেই এলাকাতে হইচই শুরু হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে মৃত যুবকের দাদা মানিক দেবনাথ বলেন, “সকালে আসেপাশে হইচই শুনে গিয়ে দেখি আমার ভাই ঝুলে রয়েছে। স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কেন সে এমন সিদ্ধান্ত নিল আমি জানি না। খুবই খারাপ লাগছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা অমিত পাল এই প্রসঙ্গে বলেন, “কয়েকদিন আগেই মৃত যুবকের বউদি আত্মহত্যা করেছিল একইভাবে। আজ শুনলাম চন্দনের দেহও ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ওই দু’জনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেই শুনেছি। একই বাড়িতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক।”