ঠিক এমনই মন্তব্য করেছেন ISF চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি আরও বলেন, “আমাদের সতর্ক হতে হবে। বাংলায় হিন্দু, মুসলিম সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের যে ঐক্য আছে তা কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। যে সাম্প্রদায়িক, বিভেদগামী শক্তি বাংলার সম্প্রীতিতে আঘাত হানার চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে ISF কর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে পাড়ায়, পাড়ায়, বুথে, বুথে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিহত করতে হবে।”
বুধবার ভাঙড়ের কালেরাইট এলাকায় ISF-র কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে এসে এভাবেই তৃণমূল, BJP-কে আক্রমণ করেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদ আরও বলেন, “ভাবতে অবাক লাগছে, নবান্নের দোরগোড়ায়, হাওড়ার কাজিপাড়ায় এত বড় ঘটনা ঘটে গেল সেখানে পুলিশ প্রশাসন, IB ফেল। তার কয়েকদিনের মধ্যেই রিষড়াতেও একই ঘটনা ঘটল। কিন্তু আমার প্রশ্ন বারবার প্রশাসন ফেল করছে কেন? প্রশাসন নিষ্ক্রিয় কেন? হয় প্রশাসনকে ভোতা করে দেওয়া হচ্ছে নয়ত নিষ্ক্রিয় করে রাখা হচ্ছে। তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। তৃণমূল দুর্নীতির পাঁকে পুঁতে গেছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, পরিত্রাণের জন্য এই বিভাজনের রাজনীতি করছে।”
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে। হয়তো সেই ভোট ফিরিয়ে আনার জন্য তারা এই খেলায় মেতেছে। তৃণমূলের যোগ্য বন্ধু, যোগ্য দোসর BJP এই আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করছে। এই সুযোগে BJP মরা গাঙে বান আনতে চাইছে। পালে হাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলার স্বার্থে মানুষের স্বার্থে এই সমস্ত বিভেদগামী শক্তির বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। উৎখাত করতে হবে।”
এই বিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) আবার একহাত নিয়েছেন নওশাদকে। তিনি বলেন, “নওশাদ BJP-র হয়ে দালালি করছে। তাই এখানে যা খুশি তাই বলে যাচ্ছে তৃণমূলের নামে। এসব কথা বলে নওশাদ বকলমে BJP-র কাজ করে দিচ্ছে। এর ফল ওরা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাবে। ভাঙড় এলাকায় একটাও আসন পাবে না ISF।”