এদিনের কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সীতানন্দ কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ সামু মাহালি, নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু সহ কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকাগন। এদিনের এই অভিনব কর্মশালায় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু।
মাছ চাষ করে যুবসমাজকে স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, “এখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।” মৎস্য কেন্দ্রিক উদ্যোগ, প্রকল্প ও সরকারি সহায়তা বিষয়ক তথ্যচিত্র সহ সামগ্রীক মৎস্যখাতের বিষয়ে সুদীর্ঘ আলোচনা করেন সুমন বাবু।
তরুণ তরুণীদের জন্য সামুদ্রিক, অভ্যন্তরীণ মৎস্য ও জলজ চাষে সম্ভাব্য ফিশারিজ এবং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যাকুয়াপ্রেনিউরশিপ উন্নয়ন সুযোগ ও সম্ভবনার দিকটি তুলে ধরেন। বিজ্ঞানে স্নাতক ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিশেষ প্রকল্প ‘জলজ প্রাণীর রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষাগার’, ‘জল মাটি পরীক্ষাগার’ তৈরির প্রকল্প বিষয়ে আলোচনা করেন।
একই সঙ্গে প্রকল্প রূপায়নে আর্থিক সহায়তার জন্য মৎস্যজীবি ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প বিষয়ে বলেন। মৎস্য খাতে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ লাভজনক কর্মসংস্থানের সুযোগের বিষয়ও আলোচিত হয়। নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজ অধ্যক্ষ ডঃ সামু মাহালি আশা প্রকাশ করে বলেন, “আজ এই মফস্বল প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আগত ছাত্র ছাত্রীদের শরীরী ভাষা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তারা অনুপ্রাণিত হয়েছে।”
কর্মশালার শেষে ছাত্র ছাত্রীরাও উৎসাহের সঙ্গে বলেন, মৎস্য উদ্যোক্তা, প্রাইভেট ফার্ম ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন তথ্য পেয়ে তারা উপকৃত। এই বিষয়ে এক ছাত্র বলেন, “আমাদের জেলা তথা এই এলাকায় মৎস্য চাষ প্রচুর পরিমানে হয়ে থাকে। কিন্তু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। মৎস্য, কাঁকড়া, চিংড়ি চাষে আজ এখানে যেভাবে ভালো জিনিষ নিয়ে আলোচনা হল, তা ভবিষ্যতে আমাদের কাজে লাগবে।”