ওখানকার একটি আবাসনে তিনি থাকতেন স্ত্রী শিউলি মাইতি (২৯) ও বছর পাঁচেকের পুত্রকে নিয়ে। জানা যাচ্ছে, গত রবিবার প্রীতম কোম্পানি ডিলারদের সঙ্গে একটি ভ্রমনে গিয়েছিলেন সিকিমে। পেশাগত কারণে প্রীতমবাবু বিদ্যুৎ পর্ষদের বড় মাপের ঠিকাদার।
আরও জানা যাচ্ছে, ২০১০ সাল থেকে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে বিবাহ করেন। তাঁর বাবার নাম পূর্ণ চন্দ্র মাইতি (৬৪) ও মায়ের নাম জ্যোৎস্না মাইতি (৫৮)। প্রীতমবাবুর এক বোনও রয়েছেন, তিনি পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলে জানা গিয়েছে।
যদিও এই দুর্ঘটনার খবর বাড়িতে তাঁর মা ও বাবা কাউকে এখনও জানানো হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। এদিন স্থানীয় এলাকা বাসীরা কিছুতেই সংবাদ মাধ্যমকে প্রীতমবাবুর বাড়ির কাছে ঘেঁসতে দেননি। তাঁর বাড়িতে ঢুকতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দেন গ্রামবাসীরা।
জানান, প্রীতমের মা বাবা এই খবর জানেন না। তাই সাংবাদিকরা গেলে ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে যাবে। গ্রামে এই মুহূর্তে শোকের ছায়া রয়েছে। এক গ্রামবাসী জানান, “আমাদের গ্রামের ভালো ছেলেদের মধ্যে একজন ছিল প্রীতম। কলকাতাতে থাকলেও সুযোগ পেলেই গ্রামের বাড়িতে আসত। পুজো পার্বণে অংশ নিত। কিন্তু তাঁকে এভাবে চলে যেতে হবে ভাবতে পারিনি। বাড়িতে বয়স্ক মা বাবা রয়েছে। তাই তাঁদের আমরা এই বিষয়ে কেউ জানাইনি। কিন্তু কতদিন এভাবে লুকিয়ে রাখা যাবে খবরটা, সেটাই ভাবছি।”
যখন এই খবর জেলায় এসে পৌঁছেছে, সেই সময় জেলা সফরে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার খবর শুনে তিনি শোক জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২২ জন পর্যটককে উদ্ধার করা গিয়েছে। এর আগে, তুষার ধসের সঙ্গে সঙ্গেই বহুজনের পুরু বরফের আস্তরণে চাপা পড়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। বরফের নিচে অন্তত আধঘণ্টা অনেকেই চাপা পড়েছিলেন।
